স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

বগুড়ার মহাস্থান কুবরানীর পশুর হাটে উপচে পড়া ভিড়!

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলেছে পশু কেনাবেচা। কঠোর লকডাউন শিথিল হতেই মহাস্থানে ১৪ জুলাই বুধবার বসানো হয় এ কুরবানির পশুর হাট।

উপচে পড়া ভিরের কারণে হাটে শুরু থেকেই স্বাস্থ্যবিধি ছিল উপেক্ষিত। হাট কমিটির পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানার নানান পদক্ষেপ নেওয়া হলেও ক্রেতা ও বিক্রেতা তা মেনে চলেননি।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে প্রবেশ ও পশু কেনার জন্য হ্যান্ড মাইকে সতর্ক করার বিষয়টিও সরেজমিনে পরিলক্ষিত হয়।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, এলাকার খামারীরা ও দুর দুরান্ত থেকে ব্যাপারীরা মহাস্থান হাটে বিক্রির জন্য পশু নিয়ে আসে। আজকের এ হাটে প্রায় ১০-১২হাজার পশু বিক্রি হবে।

হাট কর্তপক্ষ মানিক ও মনিরুজ্জামান মটু বলেন, হাটুরেদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং প্রচুর মাস্কের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি হাত ধোয়ার জন্য বেসিন স্থাপন করা হয়েছে।

মহাস্থান হাট কমিটির ইজারাদার রাগেবুল আহসান রিপু বলেন, হাটে ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে, ১৫ টি’র ও বেশি হাত ধোয়ার জায়গা করা হয়েছে এবং হাটে আগাত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য ৪টি পয়েন্টে মাইক দ্বারা জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তার পরেও অনেক ক্রেতা-বিক্রেতা স্বাথ্যবিধি মানছেন না। হাটে কোরবানীর পশুর স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য ২জন ডাক্তার রাখা হয়েছে এবং সিসি ক্যমেরা দ্বারা হাট নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পশু থেকে আরেকটি পশু অন্তত ৫ ফুট দূরে রাখা সহ ১৬ টি স্বাস্থ্য বিধি নিদের্শনা মেনে কোরবানীর পশু হাটে পশু ক্রয়-বিক্রয় করার ব্যবস্থা করা হলেও ক্রেতা বিক্রেতারা তা মানেনি।

হাটে কুরবানির পশু বিক্রি করতে আসা খামারী আফসার আলী বলেন, হাটে যে পরিমান পশুর আমদানী হয়েছে এবং ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে তাতে সবার পক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব নয়।

গরু ব্যাপারী ইসমাইল বলেন, আমরা মালিক পক্ষকে কন্ট্রাকে ১০০টি গরু কিনে দিতে হাটে এসেছি। আমার সাথে আরও ৫জন আছে। বিনিময়ে প্রতিগরু থেকে আমরা ৫০০টাকা করে পাবো।

এদিকে মহাস্থান কুরবানির হাটে এক গরুর ক্রেতার পকেট কেটে ১০ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগে হিরা (৩০) নামে একজনকে আটক করেছে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ।

হাটের দায়িত্বে থাকা শিবগঞ্জ থানার এসআই বিরঙ্গ চন্দ্র মন্ডল বলেন, হাটের নিরাপত্তায় পুলিশ সার্বিকভাবে কাজ করছে।

স্থানীয় রায়নগর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, হাটে যাতে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে পশু রাখা না হয় এবং লোকজনের জমায়েত বেশি না হয় সেজন্য বাঁশের বেড়া এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম সম্পা গণমাধ্যমকে বলেন, হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সব রকম ব্যবস্থা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাটে যারা প্রবেশ করবে তাদের অবশ্যই হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে হবে এবং মাস্ক পরতে হবে।