বগুড়ায় পাঁচ মাসেই ভেঙ্গে পড়লো ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর

বগুড়ার শেরপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য তৈরি করা ঘর বৃষ্টির পানি কারণে ধসে পড়েছে।

এক সপ্তাহে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের করতোয়া খালপাড়ে ২২টি ঘরের মধ্যে ৮টি ঘর ধসে গেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়েছিলো।

ক্ষতিগ্রস্ত ঘরমালিকেরা অভিযোগ করে বলেন, এসব ঘর তৈরিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক ঘরের জানালার পাল্লা পর্যন্ত লাগানো হয়নি। দেয়াল ফেটে যাচ্ছে। মেঝের সিমেন্টের প্লাস্টার উঠে যাচ্ছে। হস্তান্তরের শুরু থেকে ছিল না পানি ও বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা।

গত বুধবার ঘটনাস্থলে আসেন জেলা প্রশাসক মো. জিয়া উল হক। এ সময় বগুড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী, উপজেলার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক জিয়াউল বলেন, ভেঙে পড়া ঘরগুলো দ্রুত নতুন করে মেরামত করা হবে। করতোয়া খালের পাড়ের ভাঙ্গন রোধে পাউবোকে জানানো হয়েছে। বিদ্যুৎ–সংযোগ যেন তাড়াতাড়ি পায়, সে জন্যও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়ন থেকে চলতি অর্থবছরে এসব ঘর তৈরি করা হয়। প্রতিটি ঘর তৈরির বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।

চলতি বছরে ১ম পর্যায়ে গত ২৩ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে এসব আধা পাকা ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়। ঘরের মধ্যে ছিল দুটি শোবারঘরসহ একটি করে রান্নাঘর ও টয়লেট।

এই প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ছিলেন ইউএনও। কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামছুন্নাহার শিউলী।

স্থানীয় কৃষক বলেন, খালের কিনার থেকে মাটি তুলে নতুন ঘর তৈরিতে নিচু অংশ উঁচু করা হয়েছে। এখন বৃষ্টির পানির চাপে সেই মাটি ধসে যেতে শুরু করেছে।