নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ৭৯ মামলা

বগুড়ায় ভূয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড

বগুড়ার কাহালু উপজেলায় চিকিৎসক পরিচয়ে প্রতারণা করার দায়ে ভূয়া চিকিৎসককে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

রোববার সকালে উপজেলার মুরইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও মো. মাছুদুর রহমান।

কারাদণ্ডাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম এমদাদুল হক মিলন।
তিনি উপজেলার ভালতা গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে।

দাঁতের চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন তিনি।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ‘ফেরোজা চিকিৎসালয় এন্ড এশা ডেন্টাল কেয়ার’ নামে একটি ক্লিনিক রয়েছে। সেখানে চিকিৎসক হিসেবে দাঁয়িত্ব পালন করতেন এমদাদুল হক মিলন। তিনি নিজেকে দাঁতের চিকিৎসক (ডেন্টিস্ট) পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রোগী দেখতেন। কিন্তু তিনি আসলে চিকিৎসক নন। এমন অভিযোগ পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

চিকিৎসকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ প্রশিক্ষণের কোনো সনদ দেখাতে পারেননি মিলন। পরে প্রতারণা করার অভিযোগে তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অভিযানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাছুদুর রহমান বলেন, মিলন চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন। প্রতারণার দায়ে তাকে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ৭৯ মামলা

বগুড়ায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ৭৯টি মামলা হয়েছে।

করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিন বগুড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা-উপজেলা প্রশাসন এসব অভিযান পরিচালনা করে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় বগুড়ায় ৭৯ মামলায় ৪৫ হাজার ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন করোনা সংক্রমণ রোধে এসব অভিযান পরিচালনা করে। সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে বগুড়া সদরসহ অন্যান্য উপজেলায় সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ১৭টি পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সরকারি বিধিনিষেধ ভঙ্গ ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় অভিযানে অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
এ সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সহকারী কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাঈম বলেন, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা-উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা শারমিন বলেন, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে রোববার সকাল থেকেই শেরপুর উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করেছেন তিনি। সরকারি বিধিনিষেধ ভঙ্গ করায় ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় অভিযানে ১০ মামলায় ৩ হাজার ২৩০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।