‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণই শ্রেষ্ঠ কবিতা’: সাতক্ষীরার জজ শেখ মফিজুর রহমান
‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু জাতিকে স্বপ্ন দেখতে ও দেখাতে ভালোবাসতেন। তার সেই স্বপ্নকে তিনি জাতিধর্ম নির্বিশেষে সঞ্চারিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। আজ আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী পালন করতে পারছি তারা সত্যিই সৌভাগ্যবান।’
বঙ্গবন্ধু উৎসব-২০২১ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাতক্ষীরার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কবি শেখ মফিজুর রহমান এসব কথা বলেন।
শনিবার (১৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের আয়োজনে সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরীতে উৎসবে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের সভাপতি কবি মনিরুজ্জামান মন্ময় মনির।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বাসুদেব বসু, সাতক্ষীরার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন নাহার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল হক, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কবি আব্দুল হামিদ, সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা কিশোরী মোহন সরকার, সংগীত শিল্পী আবু ফাফ্না রোজ বাবু।
বঙ্গবন্ধু উৎসবে কবিতা পাঠ ও বক্তব্য রাখেন কবি শুভ্র আহমেদ, কবিতা আবৃত্তি পরিষদের কালিগঞ্জ উপজেলার সভাপতি কবি ও সাংবাদিক সুকুমার দাশ বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক কবি ও সাংবাদিক এম হাফিজুর রহমান শিমুল, কবি তৃপ্তি মোহন মল্লিক, সৈয়দ একতেদার আলী, পারভীন আহম্মেদ, মনিরুজ্জামান ছট্টু, হাইকু কবি রাইসুল হক, কবি ও সাংবাদিক আমিনুর রশিদ (আরশী বাউল), কবি মঞ্জুর লুতফর রহমান, দেবহাটার কবি ও সাংবাদিক রিয়াজুল ইসলাম রানা, কবি আলী সোহরাব, কবি দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু উৎসবে অংশগ্রহণ করেন সরকারিকর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, আইনজীবী, কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সূধীবৃন্দ।
সমগ্র অনুষ্ঠনটি পরিচালনা করেণ কবি নব কুমার ঢালী ও কবি একোব্বর হোসেন।
এর আগে বঙ্গবন্ধু উৎসব-২০২১ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কবি শেখ মফিজুর রহমান সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পন করেন এবং জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু উৎসবের উদ্বোধন করেন।
সাতক্ষীরার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান বলেছেন, ‘একটি ভালো কবিতা যেখানেই লেখা হোক তার প্রভাব সর্বজনীন এবং সার্বজনীন। কবি সৃষ্টি হয়, তৈরী করা যায় না।’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে এদেশের স্বাধীনতার কবি, মুক্তিযুদ্ধের কবি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসুস্থ্য কবি কাজী নজরুল ইসলামকে চুরুলিয়া থেকে বাংলাদেশে এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন এবং জাতীয় কবি রবিন্দ্রনাথের সঙ্গীতকে জাতীয় সঙ্গীতে অভিসিক্ত করেছেন। বঙ্গবন্ধু আমাদের কবিতা, সঙ্গীত, সংস্কৃতি কী হবে, কীভাবে এটা বিস্তৃত হবে সে বিষয়ে বাংলাদেশ সংবিধানে ২৩ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছেন।’
বঙ্গবন্ধু উৎসবে মন্ময় মনির সম্পাদিত কীর্তিগাথা পত্রিকার মোড়ক উন্মোচন করেন কবি শেখ মফিজুর রহমান।
‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে সাহিত্য ও শিল্প’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি ও প্রাবন্ধিক শুভ্র আহমেদ।
আবৃত্তি পর্বে একক আবৃত্তি করেন সাতক্ষীরার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আবৃত্তিশিল্পী ইয়াসমিন নাহার, আবৃত্তিশিল্পী সৈয়দ একতেদার আলী, আবৃত্তিশিল্পী মাসুদুর রহমান (যশোর), আবৃত্তিশিল্পী দিলরুবা রুবি, আবৃত্তিশিল্পী শেখ আনসার আলী, আবৃত্তিশিল্পী মন্ময় মনির, আবৃত্তিশিল্পী প্রভাষক তৌফিক আহমেদ, আবৃত্তিশিল্পী নীপমালা সাহা, আবৃত্তিশিল্পী স্বপ্না চক্রবর্তী, আবৃত্তিশিল্পী অনিষা রায়, আবৃত্তিশিল্পী তাছনিমাহ তুষ্টি, আবৃত্তিশিল্পী মুহাম্মদ মহাথির রাহমান, আবৃত্তিশিল্পী তনিমা ঢালী, আবৃত্তিশিল্পী আরিশা, আবৃত্তিশিল্পী লামইয়া মারজান, হাবিবা খাতুন প্রমুখ।
সংগীত পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী আবু আফ্ফান রোজ বাবু, তৃপ্তিমোহন মল্লিক, আফিলউদ্দীন প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন