বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই পূর্ণতা পেয়েছিল স্বাধীনতা

বাঙালি জাতির ইতিহাসে উজ্জ্বল কালান্তরের সূচনা করেছিলেন তিনি। দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে উঠেছিল তার হাত ধরেই। যা পরবর্তী সময়ে রূপ নেয় মুক্তির আন্দোলনে। বাঙালির কাছে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু’ নামেই পরিচিত। সেই অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী আজ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে পারলেই আলোর পথে এগোবে বাংলাদেশ।

১৯২০ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। বৃটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলছে ভারতবর্ষ। আর তখনই, দক্ষিণ বাংলার গহিন অন্দরে, মধুমতি নদীর তীরে টুঙ্গিপাড়া নামের অজানা গাঁয়ে জন্ম নিলেন একটি শিশু। শেখ বাড়ির শিশুটির নাম রাখা হল মুজিবুর রহমান। তখন কে জানতো, সেই অজ পাড়াগাঁয়ে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে আগামী বাংলাদেশের নির্মাতা।

তবে ক্রমেই সেই জানাটা হয়ে যাচ্ছিল। কিশোর শেখ মুজিব চোখ মেলে দেখলেন, কি গভীরভাবেই না অবহেলিত স্বদেশ, পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ মানুষ।

নবগঠিত পাকিস্তান একটি বুদবুদ ছাড়া কিছুই নয়, তা অনুধাবনে সময় নেননি শেখ মুজিব। রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় তিনি পেরিয়েছেন ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ছয় দফা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান আর সত্তুরের সাধারণ নির্বাচন। এর মধ্য দিয়েই সামনে আসলো সাতই মার্চ ১৯৭১।

পাক সার জমিন সাদ বাদের বিরুদ্ধে সোনার বাংলার চেতনা রোপিত করলেন বঙ্গবন্ধু। নিরীহ বাঙালিকে, সশস্ত্র যোদ্ধায় পরিনত করলেন। এর মধ্য দিয়েই বাঙালি অর্জন করলো হাজার বছরের কাঙ্খিত স্বাধীনতার স্বাদ।

পাকিস্তানি বন্দী জীবন শেষে দেশ ফিরলেন রাজনীতির কবি বঙ্গবন্ধু। দ্বিতীয়বার আনন্দে ভাসলেন বাঙলার মানুষ।

এত কিছুর পরও এমন জ্যোতিরময় পরিপূর্ণ সমৃদ্ধিকে, এমন বৈভবময় ইতিহাসকে হত্যা করা হলো। ঘোর অমানিশা নেমে আসে বাংলার বুকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাঙালির হাজার বছরের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা পূর্ণতা পেয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই।

মুক্তির আন্দোলনের কোন সীমা থাকেনা। বিমূর্ততার অন্তরাল ভেদ করে প্রাণবান মুজিব তাই করাঙ্গুল প্রসারিত করেন আজও যখন জাতি থাকে সংকটে, সংশয়ে।