বলিউডের মুসলিম অভিনেতারা কতটা ধর্ম পালন করেন

বলিউডে মুসলিম খানদের প্রবল আধিপত্য। বলিউডের বাদশাহ হিসাবে পরিচিত এখন শাহরুখ খান। জনপ্রিয়তায় কম নন সালমান খান। আমির খানও কম প্রভাবশালী নন। আমির খানের সিনেমা ছাড়া টেলিভিশনে একটি অনুষ্টান উপস্থাপনা করে ব্যাপক আলোচিত হয়েছিলেন।

বলিউডের প্রভাবশালী তারকা সালমান খান এক টুইটার বার্তায় লিখেছিলেন, জিহাদ শব্দের অর্থ সংগ্রাম। ভালোর জন্য সংগ্রাম। কিন্তু আজকাল জিহাদ শব্দের অপব্যবহার হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।

ফ্যাসাদকে জিহাদ বানিয়ে দিয়েছে লোকেরা। পাকিস্তানের পেশোয়ারে অস্ত্রধারীদের হামলায় প্রাণ হারায় ১৩২ জন স্কুলশিশু। এরপর তিনি এই টুইট বার্তা পাঠান। তিনি আরো লিখেন একটি নিরীহ জীবন বাঁচানোর মানে হচ্ছে পুরো মানবজাতিকে বাঁচানো।

আর একটি জীবন হত্যা করার মানে হলো পুরো মানবজাতিকে হত্যা করা। নিরীহ মানুষকে হত্যা করা সবচেয়ে ঘৃণ্য অপরাধ।
সালমান খানের মতে, এমনকি যুদ্ধের সময়ও শিশু, নারী, বৃদ্ধ মানুষ, ধর্মীয় স্থাপনা ও কৃষিকাজের ক্ষতি করতে পারেন না আপনি।

যারা ধর্মের নামে হত্যা করে, তারা পবিত্র বইটি পড়েনি। যাদের হাত ও মুখের কথা থেকে লোকজন নিরাপদ নয়, তারা আমাদের কেউ না। তার এসব টুইট বার্তায় প্রমান হয় ধর্ম নিয়ে বিশেষ ধরনের ভাবনা আছে তার জীবনে।

আসলে ধর্ম কতটা প্রভাব ফেলে এই বলিউড অভিনেতাদের জীবনে। আর ধর্মের বিধি বিধান কতটা পালন করেন তারা এসব বিষয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। ২০১৬ সালে আমির খান তার মাকে নিয়ে হজ্জ করেছেন। সে ছবি ভারতের গনমাধ্যমে যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে প্রকাশ পেয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীকে বিয়ে করেছেন আমির খান ও শাহরুখ খান। যদিও তারা ব্যক্তি জীবনে কী ধর্মপালন করেন তা নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই।

একই ভাবে সাইফ আলি খানও বিয়ে করেছেন হিন্দুধর্মাবলম্বী কারিনা কাপুরকে। তার সন্তানের নাম রেখেছেন তৈমুর। অর্থাত সন্তানের মুসলিম পরিচয় প্রধান হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো অত্যন্ত ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা যাই হোক ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবেন ধর্মের ভুমিকা এই অভিনেতারাও অস্বীকার করেন না।

এ বিষয় নিয়ে এনডিটিভি এক অনুষ্টানের আয়োজন করেছিলো। সেখানে তারা স্বীকার করেন তাদের ব্যক্তি জীবনে ধমের গুরুত্ব রয়েছে। ধমীয় বিধিবিধান পালনের চেষ্টা করেন।

বারখা দত্তের উপস্থাপনায় সে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন ড. জাকির নায়েক, শাহরুখ খান, সোহা খান, করন জোহর প্রমুখ।