বহিরাগত কর্তৃক মারধরের শিকার ইবি শিক্ষার্থী: বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত কর্তৃক এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আহত শিক্ষার্থী রবিবার (৭ মে) সকাল ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
শনিবার (৬ মে) পৌনে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে শিপন টি স্টলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঐ শিক্ষার্থীর নাম মোবারক হোসেন আশিক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এতে ঐ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।
পরে আহত শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ডাক্তারের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুষ্টিয়াতে প্রেরণ করা হয়।
পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা রাত ১০ টার দিকে এ অতর্কিত হামলার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে আন্দোলন করে। পরে তারা প্রক্টোরিয়াল বডির আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করে।
দাখিলকৃত অভিযোগপত্রের মাধ্যমে জানা যায়, ভুক্তভোগী মোবারক হোসেন আশিক রাত পৌনে নয়টায় দিকে কুষ্টিয়া থেকে এসে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে বাস থেকে নামেন। শিফন টি স্টলে তার দু’ বন্ধুসহ চা খেতে বসে। এ সময় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সংস্কৃতি বিভাগের মুশফিক রহমাস সহ ১৫ থেকে ২০ জন তার উপর অতর্কিত হামলা করে। পরে তার সহযোগী ও বড় ভাইয়েরা তাকে উদ্ধার করে। এতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হয়। পরে তার সহযোগী ও বড় ভাইয়েরা মিলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ডাক্তারের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুষ্টিয়াতে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে গত ১৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা মঞ্চে ২০২০ ২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ব্যাচ ডের “অবতরনিকা উৎসব” চলছিলো। উৎসবে টি-শার্ট বিতরণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এতে মোবারক হোসেন আশিক, তাসিন ইসলাম রাহিম, রাব্বি ফকিরসহ ৩০-৪০ জনকে অতর্কিত হামলার জন্য দায়ী করে। এর পরিপেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছিল।
ধারণা করা হচ্ছে উক্ত ঘটনার জের ধরে মুশফিকুর রহমান উপযুক্ত বিচার না পেয়ে প্রতিশোধ নিতে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মুশফিকুর রহমানকে একাধিকবার ফোন দিয়েও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, ভুক্তভোগী মোবারক হোসেন আশিক আজকে একটি লিখিত অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন। এর আগেও অবতরণিকা উৎসবের ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। যেহেতু ঘটনাটি পূর্বের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সেহেতু উক্ত কমিটিকে এই ঘটনাটি তদন্ত করে করে সাত দিনের মধ্যে সুপারিশসহ রিপোর্ট জমা দিতে বলেছি। এরপর আমরা বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিব।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন