বাংলাদেশসহ ৩০টির বেশি দেশকে রুশ মুদ্রা রুবলে বাণিজ্যের অনুমতি দিয়েছে রাশিয়ার সরকার

রাশিয়ার মুদ্রাবাজারে যেসব ‘বন্ধু ও নিরপেক্ষ’ দেশের ব্যাংক ও ব্রোকার হাউস লেনদেন করতে পারবে, সেই তালিকায় বাংলাদেশকে স্থান দিয়েছে মস্কো। বাংলাদেশসহ ৩০টির বেশি দেশকে রুশ মুদ্রা রুবলে বাণিজ্যের অনুমতি দিয়েছে রাশিয়ার সরকার। এর ফলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো রুবলে লেনদেন করতে পারবে। গতকাল শনিবার ঢাকার রুশ দূতাবাস এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

যে দেশগুলো রুশ মুদ্রায় বাণিজ্য করতে পারবে সেগুলো হচ্ছে— আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, আলজেরিয়া, বাহরাইন, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, চীন, কিউবা, মিসর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কাতার, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, মরক্কো, ওমান, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সার্বিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভেনিজুয়েলা ও ভিয়েতনাম। তবে শুরুতে তালিকায় রাখা হলেও আর্জেন্টিনা, হংকং, ইসরায়েল, মেক্সিকো ও মলদোভাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার রাশিয়ার উপ-অর্থমন্ত্রী আলেক্সি ময়সিভ এক অনুষ্ঠানে বলেন, রাশিয়া তার বন্ধুদেশগুলোর সঙ্গে আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য সামনের দিনে রুবলের ব্যবহার আরো বাড়াবে।

সম্প্রতি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ঢাকা সফরের আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন দেশের একক মুদ্রায় বাণিজ্যিক লেনদেন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছিলেন।

সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, তাঁদের কারেন্সিতে (রুবল) লেনদেন নিয়ে ভাসা ভাসা আলোচনা হতে পারে। কেননা আমাদের হাতে তো রুবল নেই।

মূলত ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা অভিযান শুরুর পরই দেশটির ওপর নানা অবরোধ আসতে থাকলে রুবলে লেনদেনের জন্য বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর প্রতি আহবান জানায় রাশিয়া। তাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো ডলারের বদলে রুবলে লেনদেন করা।