বাংলাদেশের জন্য ভারতের ৩৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ

ভারতে প্রথমবারের মতো বাজেটে কর আরোপের মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রাকে বৈধতা দিয়েছে মোদি সরকার। নতুন এ বাজেটে বাংলাদেশে খরচের জন্য বরাদ্দ বাড়িয়ে ৩০০ কোটি রুপি বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৪৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার লোকসভায় এ বাজেট পেশ করেন দেশটির অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।

করোনা মহামারির মধ্যেই ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। বাজেটে ৬০ লাখ নতুন চাকরি সৃষ্টি, ২৫ হাজার কিলোমিটার মহাসড়ক নির্মাণ, পোস্ট অফিসের ডিজিটালাইজেশনসহ বেশকিছু প্রকল্পের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে আয়কর ছাড়ের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো সুবিধা রাখা হয়নি। এছাড়া ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রায় বসানো হয়েছে ৩০ শতাংশ কর।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে বাজেট পেশের অনুমোদন দেওয়া হয়। নতুন এ বাজেটে মহামারি কাটিয়ে ভারতের জনগণের নতুন সম্ভাবনা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তবে নতুন বাজেট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের সাধারণ মানুষ। বেশকিছু প্রকল্পে গুরুত্ব দেওয়া হলেও আয় করে ছাড় না দেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন অনেকে। তারা বলেন, বাজেটে সে রকম কোনো পরিবর্তন হয়নি। এটা চাপে পড়ার রাস্তা। মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার তেমন কিছু করেনি। যারা মধ্যবিত্ত মানুষ তাদের দিনকে দিন আরও অবস্থা খারাপ হচ্ছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশ, কোনো গ্রামীণ জায়গা থেকে কোথায় চলে যাচ্ছে। আমরা তাদের পেছনে আছি।

এদিকে, নতুন বাজেট নিয়ে মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক টুইট বার্তায় মমতা বলেন, নতুন বাজেটে সাধারণ মানুষে কোনো স্বার্থ রক্ষা হয়নি। দেশটির বিরোধী দলগুলো এই বাজেট প্রত্যাখ্যান করেছেন।