বাংলাদেশের ৫০ : সাফল্য সম্ভাবনা বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করলে দুই যুগেও কাজ শেষ হতো না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
সোমবার (৪ জুলাই) রাজধানীর বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ঝুমঝুমি প্রকাশন থেকে প্রকাশিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রচিত ‘বাংলাদেশের ৫০ : সাফল্য সম্ভাবনা’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু থেকে বিশ্ব ব্যাংক অর্থায়ন প্রত্যাহার করায় তারা কী শিক্ষা নিলো। প্রতিষ্ঠানটি অর্থায়ন না করায় আমাদের স্বপ্নের সেতু দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোবলের কারণে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু যেমনি বিশ্বে আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে তেমনি নিরাপদও হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বিশ্ব ব্যাংক যদি সেতুতে অর্থায়ন করতো তাহলে তাদের মন মতো কাজ করতে হতো। ডিজাইন পরিবর্তন, টেকনিক্যাল সমস্যা, এখানে এই সমস্যা সেখানে সেই সমস্যা বলে তাদের মতামত আমাদের ওপর চাপিয়ে দিত। না করলে কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য করত। এতে অনেক সময় অপচয় হতো।
মন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রকল্পে যে সকল দেশ ও সংস্থা অর্থায়ন করে থাকে তাদেরকে আমরা দাতা দেশ বা দাতা সংস্থা বলে থাকি, এটি ঠিক নয়। এসব দেশ ও সংস্থা আমাদের লোন দেয়, দান করেন না। এটি লাভসহ ফেরতযোগ্য। তাই তারা দাতা নয় বরং উন্নয়ন সহযোগী। অথচ তাদেরকে আমরা ভুল করে করে দাতা বলি, যা উচিত নয়।
বাংলাদেশের ৫০: সাফল্য ও সম্ভাবনা’ বইয়ের লেখক হিসেবে অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের অনেক বড় বড় অর্জন রয়েছে। ২০২০ ও ২০২১ সালে আমাদের বড় ইভেন্ট হয়েছে। বাংলাদেশের ৫০ বছর ও মুজিব শতবর্ষ আমরা পালন করেছি। এগুলো নিবন্ধন আকারে যখন পত্রিকায় লিখেছি, তখন সেগুলো সংরক্ষণে বই আকারে সন্নিবেশিত করেছি।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাফল্য ও তার ধারাবাহিকতা নিয়ে পোপ ফ্রান্সিসসহ বিশ্ব নেতারা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অর্থনৈতিক সাফল্য ও জলবায়ু পরিবর্তনে যে শক্তিশালী ভূমিকা সেটি নিয়েও তারা বিস্মিত হয়েছেন। আমি এগুলোকে স্থান দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এ সময় গ্রন্হের লেখক পররাষ্ট্র মন্ত্রী বইটির প্রকাশনা ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য ড. দেলোয়ার হোসেন, এ বি ব্যাংক লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজাল, নায়েমের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. নিজামুল করিম এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক শাহেদুল খবির চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন