বাংলাদেশে প্রথম জেনারেটর টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করল এনার্জিপ্যাক

বাংলাদেশে প্রথম জেনারেটর টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করল এনার্জিপ্যাক।

টেস্টিং ল্যাবটি বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রকৌশলী “ইঞ্জি: খালেদা শাহরিয়ার কবির” এর নামে নামকরণ করা করেছে।

শীর্ষস্থানীয় পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড (ইপিজিএল) বাংলাদেশে প্রথম ও একমাত্র টেস্টিং ল্যাব স্থাপনের গৌরব অর্জন করেছে। অত্যাধুনিক ‘ইঞ্জি. খালেদা শাহরিয়ার কবির টেস্টিং ল্যাব’ এর মাধ্যমে এনার্জিপ্যাক এর গ্রাহকদের সর্বোচ্চ গুণগতমানের পণ্য ও সেবা প্রদান করতে পারবে। এ নিয়ে ২৯ জানুয়ারি অনলাইন মাধ্যমে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

তিনি বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং এক্ষেত্রে এনার্জিপ্যাক অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে তাই আমি তাদের প্রতি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। টেকসই উন্নয়নে গবেষণার কোন বিকল্প নেই এবং এক্ষেত্রে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান”।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইইবি) সভাপতি প্রকৌশলী নুরুল হুদা, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া পলিটেকনিক স্টেট ইউনিভার্সিটির, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক শিখা রহমান, এনার্জিপ্যাকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন রশীদ এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। শিখা রহমান প্রকৌশলী খালেদা শাহরিয়ার কবিরের কন্যা।

অত্যাধুনিক টেস্টিং ল্যাবে দু’টি স্ট্যান্ডার্ড লোড ব্যাঙ্ক রয়েছে, যেগুলো কৃত্রিম লোড তৈরি করতে এবং জেনারেটরের লোড ক্যাপাসিটির সাথে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়। এখানে, এনার্জিপ্যাক সঠিক লোড ক্যাপাসিটি, সঠিক শব্দ স্তরের প্রয়োজনীয়তা, কম্পনের সঠিক স্তর এবং সাইলেন্সার থেকে নিষ্কাশনের চাপ বা প্রবাহ এবং জেনারেটরের তাপমাত্রা নির্ধারণ করতে পারে। বাংলাদেশের প্রথম এবং অন্যতম খ্যাতিমান নারী প্রকৌশলীকে সম্মান জানাতে ল্যাবটির নামকরণ করা হয়েছে ‘ইঞ্জি. খালেদা শাহরিয়ার কবির টেস্টিং ল্যাব।’

এনার্জিপ্যাকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হুমায়ুন রশীদ ল্যাবটি স্থাপনের উদ্দেশ্য এবং এর নামকরণের বিষয়টি স্পষ্ট করেন।
তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিষ্ঠিত টেস্টিং ল্যাবের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশে উন্নতমানের জেনারেটর তৈরি ও বিতরণের বিশেষ সুবিধা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এটি অবশ্যই আমাদের গ্রাহক ও অংশীদারদের আশ্বস্ত করবে। একই সাথে, আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো প্রকৌশলী খালেদা শাহরিয়ার কবিরের অনবদ্য গল্পগুলোকে ছড়িয়ে দেওয়া, যিনি বাংলাদেশে প্রকৌশল খাতে কর্মরত নারীদের মধ্যে অগ্রগামী ছিলেন।
তিনি অনেক প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠেন বলে আজও তিনি অনুকরণীয়। তাই নারীর ক্ষমতায়নের উত্তরাধিকারকে শ্রদ্ধা জানাতে এনার্জিপ্যাক তার নামে ল্যাবের নামকরণ করেছে।”