বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মিয়ানমার পুলিশের লাশ

বাংলাদেশ সীমান্তে গুলিবিদ্ধ এক পুলিশ সদস্যের লাশ উদ্ধারের দাবি করছে মিয়ানমার। গত সপ্তাহে অজ্ঞাতনামা এক বন্দুকধারীর সংঙ্গে সংঘর্ষের পর থেকেই ওই পুলিশ সদস্য নিখোঁজ ছিলেন। দেশটির রাষ্ট্র পরিচালিত গণমাধ্যম ও কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘গত ১৭ ডিসেম্বর সংঘাতকবলিত রাখাইন রাজ্যেসংলগ্ন সীমান্তে টহল দেয়ার সময় বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রাইভেট অং কিয়াও থেটের দল লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ওই পুলিশ সদস্য।’

গত শুক্রবার ওই পুলিশ সদস্যের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ওই দৈনিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উদ্ধারকৃত ওই পুলিশ সদস্যের মুখ, হাত ও পায়ে গুলির চিহ্ন ছিল। তাছাড়া ওই ঘটনায় আরও একজন পুলিশ আহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়।

মিয়ানমারে মংডু বর্ডার গার্ড পুলিশের লেফটেন্যান্ট কর্নেল টিন হান লিন বলেন, মরদেহটি উদ্ধারের বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই সেটির অবস্থান সম্পর্কে জানতেন তারা। কিন্তু মরদেহটি উদ্ধারে মিয়ানমার-বাংলাদেশ যৌথ দল গঠন করার কারণে উদ্ধারকাজে বিলম্ব হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের মেজর মোহাম্মদ ইকবাল রয়টার্সকে বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বরের ঘটনায় বিজিবি সদস্যরা জড়িত ছিলেন না। তবে ওই দিন সীমান্তে গোলাগুলির আওয়াজ শুনেছিলেন তারা। এ বিষয়ে তদন্তের জন্য তারা মিয়ানমারের সঙ্গে যৌথ তদন্তকমিটি গঠন করেছেন বলে জানান তিনি।