বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে স্বস্তিতে ঢাকায় ফেরেছেন যাত্রীরা

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুট দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষেরা অনেকটা স্বস্তিতে এবারের ঈদুল ফিতরে বাড়িতে গেছেন। এখন ছুটি শেষে বাড়ি থেকে ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন তাও অনেকটা ঝামেলা ছাড়াই। এখন ছুটি শেষে তারা আবারও স্বস্তিতে নৌপথে দিয়ে আসতে শুরু করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা এ বিষয় জানান, ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার কারণে ঢাকায় ফেরা মানুষের চাপ বেশি থাকবে আজ শুক্রবার ও আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত।

শুক্রবার সরেজমিনে বাংলাবাজার ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, শুক্রবার ঢাকা ফেরা মানুষের ভিড় অনেকটায় বেড়েছে যা গতকালকের তুলানায় বেশি। যাত্রীদের ভিড়ে ফেরী, লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাট সরগরম। ফেরীঘাট গুলোতে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়াও পারাপার হতে এসে দুর্ভোগে পড়েতে হয়েছে ঢাকামুখী যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের। তবে যাত্রীরা লঞ্চ-স্পিডবোটে ভোগান্তি ছাড়াই পারাপার হতে পেরেছেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বাংলাবাজার লঞ্চঘাট সূত্রে জানা গেছে, যাত্রীরা বুধবার (৪ মে) বিকেল থেকেই ঢাকা ফিরতে শুরু করাই বৃহস্পতিবার (৫ মে) সকাল থেকে যাত্রীদের অনেক ভিড় ছিল। যা আজ শুক্রবারেও চাপ রয়েছে। নৌযান গুলো ধারণ ক্ষমতা বুঝে যাত্রী পার করছে। ঝড়ের মৌসুমে থাকায় সতর্কতার সাথে নৌযান চলাচল করছে। যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নৌরুট দিয়ে ৮৭টি লঞ্চ ও দেড় শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করছে। আবহাওয়া বৈরী হয়ে উঠলেই যে কোন সময়ে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিএ’র বাংলাবাজার লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন জানান, কর্মস্থলগামী যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে বাংলাবাজার ঘাটে। আগামী বেশ কয়েকদিন এই চাপ থাকবে। তবে নৌযানে ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে রাত ১০টা পর্যন্ত লঞ্চ চলে।

বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ফেরিঘাট ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাতদিন ২৪ ঘণ্টা ৫টি ফেরি চলছে। ফলে ঘাটে খুব বেশি ভোগান্তি পোহাতে হবে না যাত্রীদের। বাংলাবাজার-শিমুলিয়া এবং মাঝিরকান্দি-শিমুলিয়া উভয় ঘাট দিয়েই যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ফেরিতে সাধারণ যাত্রীদের চাপ কমই। তবে মোটরসাইকেল আরোহীদের চাপ রয়েছে।