বাগেরহাটের শরণখোলায় জেলে কার্ডের চালের স্লিপ চাওয়ায় ইউপি সদস্যের হামলায় নারী আহত
বাগেরহাটের শরণখোলায় হতদরিদ্র জেলে সহায়তা কার্ডের সরকারী চাল বিতরনের স্লিপ চাইতে গেলে ইউপি সদস্যের হামলায় সোনাতলা গ্রামের হতদরিদ্র জেলে মো. নাছির হাওলাদারের স্ত্রী হাসিনা বেগম (৪৫) গুরুতর আহত আহত হয়েছে। ১৩ এপ্রিল (বুধবার) দুপুরে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। এসময় মারামারি ছাড়াতে গিয়ে ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন মৃধা গুরুতর আহত হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের হতদরিদ্র জেলে মো. নাছির হাওলাদারের স্ত্রী হাসিনা বেগম (৪৫) তার স্বামীর নামে বরাদ্ধকৃত সরকারী জেলে কার্ড নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদারের কাছে চালের স্লিপ চাইতে গেলে ইউপি সদস্য জানান এ বছর আপনি চাল পাবেন না। এনিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায় উভয়ের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
আহত হাসিনা বেগম বলেন, আমার স্বামী একজন প্রকৃত জেলে। ২০১৪ সাল থেকে তার নামে বরাদ্ধকৃত জেলে কার্ডের চাল ভোগ করে আসছি। আমার স্বামী অসুস্থ হওয়ায় তার পক্ষে আমি জেলে সহায়তা কার্ডের জন্য চালের স্লিপ চাইতে গেলে জাহাঙ্গীর মেম্বার বলেন তোমার স্বামী চাল পাবে না। কারন জানতে চাইলে উত্তেজিত হয়ে আমার মাথার চুলের মুঠি ধরে এলাপাথারি কিল ঘুষি মারে। এ সময়ে অন্য ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আহত ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন মৃধা মারামারি ছাড়াতে গিয়ে হাত ভেঙ্গে যায়।
ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর হাওলদার বলেন, আগের তুলনায় চালের বরাদ্দ কম তাই অল্প সংখ্যক জেলেদের মাঝে চাল বিতরন করা হয়েছে। তাই এবারে তাকে দেয়া সম্ভব হয়নি। আমি নাছিরের স্ত্রী হাসিনা বেগমকে কোন ধরনের মারপিট করিনি বরং তিনি আমাকে গালমন্দ সহ মারার জন্য তেড়ে এসেছেন। তবে, আহত ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন মৃধা বলেন, মারামারি ছাড়াতে গিয়ে আমার হাত ভেঙ্গে গিয়েছে।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। বিষয়টি নিয়ে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংসা করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন