বাগেরহাটের শরণখোলা ছাত্রলীগের সভাপতির সংবাদ সম্মেলন

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদকে জড়িয়ে চাঁদাবাজি, জমি দখল ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মারধরের অভিযোগে শরণখোলা প্রেসক্লাবে যে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে তার প্রতিবাদে ২৬ জুলাই মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খাঁন মহিউদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক তাজু সরদার সহ কতিপয় নেতা কর্মী আমার ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে গত ২৫ জুলাই তাকে জড়িয়ে শরণখোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমিদখল ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরা হয়। যা সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমি রাজনৈতিক গ্রুপিং প্রতিহিংসার স্বীকার।

গত ২৩ জুলাই শনিবার উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন সিদ্দিক গাজী তার ভাই মনির গাজী ও তার শ্যালক বাবুল হাওলাদার ৩৭নং পশ্চিম বানিয়াখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমার ভগ্নিপতি আঃ মালেক হাওলাদারকে ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তি না পাওয়া সংক্রান্ত ঘটনার সূত্রধরে মারধর করেন। খবর পেয়ে শিক্ষকের স্ত্রী ও আমার বোন নাসিমা বেগম, ছেলে রাসেল ও বায়েজিদ ছুটে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আহতদের শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে গেলে পুনরায় সিদ্দিক গাজী, তার ভাই মনির গাজী ও বাবুল হাওলাদার বিদ্যালয়ের মধ্যেও তাকে মারপিট করে। একটি দোকানের মধ্যে আটকে রাখে। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে শিক্ষকের পুত্র রাসেল ৯৯৯ এ ফোন করলে শরণখোলা থানা পুলিশের একটি দল স্কুল শিক্ষক আঃ মালেক হাওলাদারকে উদ্ধার করেন। একজন শিক্ষক ও তার পরিবারের উপর হামলার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ও ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খাঁন মহিউদ্দিন আমার ভগ্নিপতির বাড়িঘর জালিয়ে দিতে ইউপি সদস্য সিদ্দিক গাজীকে হুকুম দেয়। এসকল ঘটনা আমি জেনে ফেলায় ও প্রতিবাদ করায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের একটি অংশ ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসাতে মিথ্যা অভিযোগ তোলেন বলে আসাদ দাবী করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খোন্তাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন খাঁন মহিউদ্দিন বলেন, ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তা সত্য নয়। বরং আসাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগের প্রমান তার কাছে রয়েছে।