‘বাধ্য হলে’ উত্তর কোরিয়ায় সামরিক শক্তির ইঙ্গিত যুক্তরাষ্ট্রের

উত্তর কোরিয়ার ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষার কারণে বেশ চেটেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। জাতিসংঘে নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়াকে শায়েস্তা করতে প্রয়োজন হলে তাঁরা তাঁদের সর্বোচ্চ সামরিক শক্তি ব্যবহার করবে।

স্থানীয় সময় বুধবার নিকি হ্যালি এসব কথা বলেন। তিনি জানান, সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে।

গত মঙ্গলবার সকালে কমিউনিস্টশাসিত দেশ উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম একটি সর্বোচ্চ পাল্লার আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়। সেদিন ছিল আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস। সফল উৎক্ষেপণের পর দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন বলেন, ‘এটা আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসের উপহার।’

এর পর পরই এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন উত্তর কোরিয়ার আইসিবিএম পরীক্ষার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছিলেন, ‘এটা যুক্তরাষ্ট্র, তার মিত্র তথা গোটা বিশ্বের জন্য নতুন হুমকিস্বরূপ।’

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি এ পরীক্ষাকে ‘তীব্র সামরিক স্খলন’ আখ্যা দিয়ে এবং একে জাতিসংঘ আরোপিত বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের জন্যও হুমকিস্বরূপ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তার সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে নিজেদের ও তার মিত্রদের রক্ষায় প্রস্তুত। আমাদের সব সামর্থ্যের মধ্যে সামরিক সামর্থ্য অন্যতম। যদি আমরা বাধ্য হই, তাহলে তাদের ওপর সামরিক শক্তি প্রয়োগ করব। তবে আমরা এ পথে যেতে চাইছি না।’

উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা দ্রুত কূটনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধানের সব পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে বলেও জানান হ্যালি।

জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অবমাননা করে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মধ্যে এ পর্যন্ত এটাই উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস ও জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তমোমি ইনাদা একে অগ্রহণযোগ্য অপরাধ বলেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এ বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপ করেন। এ সময় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জাপানকে রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তারা জাপানকে সব ধরনের সহায়তা দেবে।