বাবা-মায়ের পাশে শায়িত হলেন কবি বেলাল চৌধুরী

ফেনীর শর্শদীতে মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কবি বেলাল চৌধুরী। বুধবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে স্থানীয় চৌধুরী বাড়ির দরজায় শর্শদি সিনিয়র দারুল উলুম মাদরাসা মাঠে তার শেষ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে কবির মরদেহ শহীদ মিনারে নেয়া হয়।

তার আগে সকাল সাড়ে ১০টায় কবির মরদেহ বাংলা একাডেমিতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নেয়া হয়। বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে তাকে গ্রামের বাড়ি ফেনীর শর্শদিতে এনে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য, কবি বেলাল চৌধুরী মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।

তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক। দীর্ঘদিন বাংলাদেশের ভারতীয় হাইকমিশন থেকে প্রকাশিত ‘ভারত-বিচিত্রা’র সম্পাদক ছিলেন তিনি। সাপ্তাহিক সন্দ্বীপ পত্রিকাটিও তিনি সম্পাদনা করেছেন।

দীর্ঘ কয়েক বছর ভারতের কলকাতায় অবস্থানকালে তিনি কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত বিখ্যাত সাহিত্য পত্রিকা ‘কৃত্তিবাস’র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি একুশে পদক পান এই কবি। এছাড়া পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার।

কবি বেলাল চৌধুরীর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘নিষাদ প্রদেশে’, ‘আত্মপ্রতিকৃতি’, ‘স্থিরজীবন ও নিসর্গ’, ‘স্বপ্নবন্দী’, ‘সেলাই করা ছায়া’, ‘কবিতার কমলবনে’ ও ‘বত্রিশ নম্বর’। এছাড়াও ‘নিরুদ্দেশ হাওয়ায় হাওয়ায়’ নামের একটি আত্মজৈবনিক গ্রন্থও রয়েছে তার।