বিএনপি নেতা গয়েশ্বরকে সোনারগাঁও হোটেলের খাবারে ডিবির আপ্যায়ন

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে সোনারগাঁও হোটেলের খাবার এনে আপ্যায়ন করা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে।

শনিবার (২৯ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে তাকে নিয়ে আসা হয়। পরে বেলা ৩টার দিকে ডিবি কার্যালয় থেকে বের হন তিনি।

জানা গেছে, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আপ্যায়নের জন্য সোনারগাঁও হোটেল থেকে উন্নতমানের খাবার আনা হয়। ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে তিনি দুপুরের খাবার খান। এরপর একটি গাড়িতে করে তাকে বাসায় পৌঁছে দেয়া হয়।

এর আগে ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, রাজধানীর ধোলাইখাল মোড়ে বিএনপি ও পুলিশের মাঝে পড়ে যান গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বিএনপি কর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন। তাকে সেভ করতেই মূলত ডিবিতে নিয়ে আসে হয়।

এদিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, শনিবার রাজধানীর নয়াবাজার (বাবুবাজার ব্রিজের প্রবেশ মুখ) মোড়ে অবস্থান নেয়ার কথা ছিলো বিএনপির। তবে এর বদলে বেলা ১১টার দিকে ধোলাইখাল মোড়ে অবস্থান নেন দলটির নেতাকর্মীরা।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। জবাবে ইটপাটকেল ছোড়েন অবস্থানকারীরা।

সেখান থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে নিয়ে যান গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) নয়াপল্টনের মহাসমাবেশ থেকে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বিএনপি। এরপর শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগও। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয়নি ডিএমপি। রাতে ডিএমপির গণমাধ্যম বিভাগ থেকে পাঠানো এসএমএসে ডিএমপি কমিশনারকে উদ্ধৃত করে একথা জানানো হয়।

এরপর আওয়ামী লীগ কর্মসূচি থেকে সরে এসে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সতর্ক অবস্থানের ঘোষণা দেয়। কিন্তু শনিবার সকাল থেকেই সড়কে অবস্থানের চেষ্টা করে বিএনপি। লাঠিসোঁটা হাতে সড়কে নামেন দলটির নেতাকর্মীরা।