বিদেশি বিনিয়োগ : দুই মেরুতে সিপিডি ও অর্থমন্ত্রী
নতুন বাজেটে বৈদেশিক সহায়তা ও বিনিয়োগের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা স্থানীয় মুদ্রায় ৫৬ হাজার কোটি টাকা। জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রী এই পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। কিন্তু বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) বলেছে, আগামী অর্থবছরে এই পরিমাণ বিদেশি অর্থ আনা অসম্ভব।
শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, গত কয়েক বছর থেকে আমরা বিপুল পরিমাণ বৈদিশিক সহায়তা আদায় করছি। পাইপ লাইনে ব্যাপক টাকা রয়ে গেছে। কিন্তু ব্যবহার করতে পারছি না। এজন্য কমিটির তৎপরতা রিভিউ করা হবে। আশা করছি এই টাকা আমরা আনতে পারবো। সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বাজেটে বেশি ব্যবহারের কথা বলেছি।
কিন্তু একইদিন সকাল বেলা রাজধানীর গুলশানের এক হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি বলেছে ভিন্ন কথা। সংস্থাটি বলেছে, ২০১৬ সালের জুলাই মাস থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই আট মাসে সরকার ১.৯৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ আনতে পেরেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে যা ২.৯ শতাংশ কম। বছরে গড়ে বাংলাদেশ ২ বিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ বা সহায়তা পেয়ে থাকে। তাহলে হঠাৎ করেই তা তিনগুণের বেশি হয়ে সাত বিলিয়নে কিভাবে যাবে তা স্পষ্ট নয়। সিপিডি বলছে, এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সরকার ঘাটতি বাজেট দিয়েছে। ঘাটতি মেটাতে সব জায়গা থেকে অর্থ আদায়ের জন্য বরাদ্দ রেখেছে। ঘাটতি পূরণে যা দরকার ছিল তা বৈদেশিক সহায়তার ছকে ফেলে দেয়া হয়েছে বলেই মনে হয়। তাছাড়া এটা অর্জন করা সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রতিক্রিয়া জানাতে শুক্রবার সকালে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সিপিডি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন