বিমান ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের বিমান ময়ূরপঙ্খী ছিনতাই চেষ্টার ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রোববার রাতে বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর নির্দেশে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ।

তিনি জানান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার এর নেতৃত্বে একটি তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে বিকালে দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ উড্ডয়ন করে।

উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে বিমানটি। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের জরুরি অবতরণ করা হয়।

জরুরি অবতরণের পরপরই রানওয়েতে বিমানটি ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ। পরে সব যাত্রীকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হলেও একজন যাত্রী এবং একজন ক্রুকে ওই ছিনতাইকারী জিম্মি করে রাখে। পরে বিমানবন্দরে যায় সোয়াত টিম ও বোম ডিসপোজাল ইউনিট। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসও।

ঘটনাস্থল থেকে একাধিক সূত্র জানায়, বিমানের বিজি-১৪৭ নম্বর ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা। কিন্তু উড্ডয়নের পরপরই এ ঘটনা ঘটে। এরপরই দ্রুত ফ্লাইটের সব যাত্রীকে নামিয়ে দেয়া হয়। বিমানটি রানওয়েতে অবস্থান করে এবং সেটি ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

বিমানবন্দরের একাধিক সূত্র জানায়, যাত্রীদের নামিয়ে আনলেও এক যাত্রী ও ক্রু প্লেনের ভেতরে ছিলেন।

সূত্র জানায়, বিমানটি রোববার বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে জরুরি অবতরণ করা হয়। তাৎক্ষণিক সেখানে বিমান ওঠানামা বন্ধ করা হয় বলে বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ বিমানের জরুরি অবতরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।