বিশ্বকাপের আয়োজক কাতারের প্রথম রাউন্ডেই বিদায়

প্রথম ম্যাচে ইকুয়েডরের কাছে হার। বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না। কিন্তু সেই কাজটি করতে পারেনি কাতার।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সেনেগালের কাছে ৩-১ গোলে হেরে সবার আগে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে আয়োজক কাতার। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে হারলেও কাতারকে হারিয়ে নকআউট পর্বের সম্ভাবনা ধরে রেখেছে সেনেগাল।

আল থুমামা স্টেডিয়ামে শুরু থেকে দুই দলের লড়াইটা ছিল বেশ সমানে সমান। তবে ধীরে ধীরে খেলায় আধিপত্য আনে সেনেগাল। ৪১ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় আফ্রিকান দেশটি। নিজেদের ভুলে গোল হজম করে কাতার। সেনেগালের দিয়াতার শটে বক্সে বল ক্লিয়ার করার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান ডিফেন্ডার বুয়ালেম খুউখি। আলগা বল পেয়ে শটে জালে পাঠান বোলায়ে দিয়া।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফামারা দিয়েদহিউর গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে সেনেগাল (২-০)। কাতারের বিদায়ের শঙ্কাটা তখন প্রবল হয়ে দাঁড়ায়। গোলের জন্য মরিয়া কাতার লড়তে থাকে প্রাণপণ। ৭৮ মিনিটে সফলও তারা। দুরন্ত হেডে সেনেগালের জাল কাঁপান মোহাম্মদ মুনতারি। বিশ্বকাপ ফুটবলে কাতারের এটি প্রথম গোল। আর একটি গোল করতে পারলেই ড্র করতে পারত আয়োজকরা। কিন্তু সেই অসাধ্য কাজটি করতে পারেনি দলটি। উল্টো ৮৪ মিনিটে আরও একটি গোল হজম করে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ত্বরান্বিত হয় কাতারের। সেনেগালের হয়ে তৃতীয় এই গোলটি করেন বাম্বা ডিয়েং।

‘এ’ গ্রুপে কাতার বাদে বাকি তিন দলের পয়েন্টই ৩ করে। গোল ব্যবধানে যথাক্রমে শীর্ষ থেকে রয়েছে নেদারল্যান্ডস, ইকুয়েডর ও সেনেগাল। প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল সেনেগাল। কাতারের শেষ ম্যাচটি নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কেবল নিয়মরক্ষার লড়াই।