বিশ্বকাপ জিতলেই মেসি ‘তীর্থযাত্রী’!
দুনিয়ার তাবৎ ফুটবলারের কাছে বিশ্বকাপ জয়ই শেষ কথা। ত্রিশ পেরিয়ে গিয়েও এখনো সেই ‘শেষ কথা’র দেখা পাননি লিওনেল মেসি। খেলেছেন তিনটি বিশ্বকাপে, এর মধ্যে শেষবার উঠেছিলেন ফাইনালেও, কিন্তু আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের কাছে সোনার ট্রফিটা অধরাই থেকে গেছে। রাশিয়া বিশ্বকাপে সেই অধরা স্বপ্ন ছোঁয়ার লক্ষ্যে প্রতিজ্ঞা করেছেন মেসি। শিরোপা জিততে পারলে রাখবেন সেই প্রতিজ্ঞা।
প্রীতি ম্যাচে রাশিয়ার মুখোমুখি হতে আর্জেন্টিনা দল এখন স্বাগতিকদের দেশে। সেখানে ‘টিওয়াইসি স্পোর্টস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের চমকপ্রদ প্রতিজ্ঞার কথা জানিয়েছেন মেসি। প্রতিজ্ঞাটি আক্ষরিক অর্থেই অভাবনীয়। মেসির ভাষ্য, আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতাতে পারলে জন্মভূমি রোজারিও থেকে তিনি হেঁটে যাবেন প্রায় ৬৮ কিলোমিটার দূরের শহর অবস্থিত সান নিকোলাসে। দূরত্বটুকু হেঁটে যেতে সময় লাগে প্রায় ১৪ ঘণ্টা।
সাক্ষাৎকারে মেসিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, রাশিয়ায় বিশ্বকাপ জিতলে কী করবেন? মেসির জবাব, ‘বিশ্বকাপ জিততে পারলে প্রতিজ্ঞা করছি, আমি হেঁটে সান নিকোলাস পৌঁছাব। আমরা সবাই বিশ্বকাপ জিততে চাই।’ সার্জিও আগুয়েরো আবার এক কাঠি সরেস। মেসির এই জাতীয় দলের সতীর্থ হেঁটে নয়, দৌড়াতে দৌড়াতে যেতে চান সান নিকোলাসে। আগুয়েরোর দাবি, ‘হাঁটব? না, আমরা দৌড়াব।’
মেসিদের এই চমকপ্রদ ‘প্রতিজ্ঞা’র নেপথ্যে রয়েছে দারুণ এক ইতিহাস। রোজারিওর ক্যাথলিক খ্রিষ্টানরা প্রতিবছরের ২৫ সেপ্টেম্বর হেঁটে তীর্থযাত্রা করে থাকেন সান নিকোলাসের পবিত্র স্থান ‘আওয়ার লেডি অব রোজারি’র ধর্মীয় প্রাসাদে। বিশ্বকাপ জিতলে মেসিরা তীর্থযাত্রীর মতোই হেঁটে পৌঁছাতে চান সান নিকোলাসের সেই পবিত্র ঘরে। যেখানে ১৯৮৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর গ্লাডিস কুইরোগা ডি মোত্তা নামের স্থানীয় এক নারী প্রথমবারের মতো অলৌকিক শক্তির সাক্ষাৎ পাওয়ার দাবি করেছিলেন। তিন দিন পর সেই নারী আবারও সেই শক্তির সাক্ষাৎ পেলে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের কাছে বিষয়টি জানান। পরে সেই জায়গার নামকরণ করা হয় আওয়ার লেডি অব রোজারি এবং তীর্থস্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
মেসিরা হেঁটে সেখানে পৌঁছাতে পারেন কি না, সেটাই এখন দেখার পালা। সূত্র: এক্সপ্রেস, স্পোর্টিং ট্রিবিউন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন