কেঁদেই ফেললেন নেইমার!

জাপানের বিপক্ষে ম্যাচে ব্রাজিলের জয় নিয়ে কারওরই খুব একটা সন্দেহ ছিল না। কিন্তু ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে যা হলো, সেটা বোধ হয় কোনো সংবাদকর্মীই আশা করেননি। ম্যাচ জয়ের পরও সংবাদ সম্মেলনে এসে কেঁদে ফেললেন ব্রাজিল অধিনায়ক!

ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় পিএসজিতে এসে ক্লাবটির চেহারাই পাল্টে দিয়েছেন। দুর্দমনীয় গতিতে ছুটছে পিএসজি। কিন্তু তিনি আসাতেই দলে অন্তঃকোন্দল সৃষ্টি হয়েছে—এমন অভিযোগও শোনা গেছে। বিশেষ করে উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড এডিনসন কাভানির সঙ্গে পেনাল্টি নিয়ে মাঠে ঝামেলা বেধেছিল নেইমারের, কোচ উনাই এমেরির সঙ্গেও নাকি ঠিক জমছে না ব্রাজিলীয় তারকার।

এই ঘটনার সত্যতা জানতেই এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন নেইমার। দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি চোখের জল আড়াল করছেন। পরে ব্রাজিল কোচ তিতে সম্মেলনে এসে অধিনায়কের পক্ষে কথা বলেছেন। পিএসজিতে যেকোনো সমস্যার কথা অস্বীকারই করেছেন নেইমার, ‘প্যারিসে খুব ভালো আছি, আমি সুখী। আমি এমন একজন খেলোয়াড় হতে চাইছি যে কিনা মাঠে তাঁর সর্বস্ব ঢেলে দেয়। সে যাক, অন্য একটা বিষয় আমাকে বিচলিত করছে—কাভানির সঙ্গে আমার কোনো ঝামেলা নেই, কোচের সঙ্গেও নেই। আমি চাই আপনারা এসব খবর আবিষ্কার করা বন্ধ করুন। আমি প্যারিসে এসেছি অবদান রাখতে, আমার কোচকে সাহায্য করতে।’

পুরো অভিযোগটাই ব্রাজিল অধিনায়ককে ভেতরে-ভেতরে কুরে খাচ্ছে, ‘এই বিষয়টা আমাকে বিরক্ত করছে, এমনকি তিতের সঙ্গেও এ নিয়ে কথা বলেছি। আমি আপনাদের থামতে অনুরোধ করছি। আমি জিততে ভালোবাসি। শিরোপা জিততে চাই, এ কারণেই পিএসজিতে এসেছি। আমি ভালো আছি, বার্সেলোনা ছেড়ে আসার সময়ও আমি আনন্দেই ছিলাম। এখনো আনন্দেই আছি।’

কোচ তিতে দলে নেইমারের ইতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে কথা বলেছেন। তাঁর মতে, নেইমার ‘ঘোঁট পাকানো’র মতো মানুষ নন। তিনি বলেছেন, ‘“তিতের সঙ্গে নেইমারের ঝামেলা আছে”—এই কথা শুনতে শুনতে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। তাঁর চরিত্র এবং ড্রেসিংরুমে তাঁর প্রভাব সম্পর্কে আমিই আপনাদের বলতে পারি…মানুষ মাঝেমধ্যে ভুল প্রতিক্রিয়া দেখায়। তার জন্য মানুষের স্বভাব-চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত নয়।’

নেইমারের এমন অশ্রুসজল সংবাদ সম্মেলন বেশ আলোড়ন তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে তিনি অন্তত জাতীয় দলের কোচকে পাশে পাচ্ছেন—এটাই স্বস্তির খবর। সূত্র: এএফপি, গোল।