বিশ্বসেরা সায়েন্টিফিক ইনডেক্সে কুবি শিক্ষার্থী মাসুদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) থেকে একমাত্র শিক্ষার্থী হিসেবে অ্যালপার ডগার সায়েন্টিফিক ইনডেক্স-২০২২ এ জায়গা করে নিয়েছে বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শেখ শাহিদ আল মাসুদ।

শনিবার (২৩ এপ্রিল) অ্যালপার ডগার সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের ওয়েবসাইটে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ জন শিক্ষকের পাশাপাশি তার নামও রয়েছে এই তালিকায়।

তার সাথে কথা বলে জানা যায়, তার গবেষণার বিষয়বস্তু হলো “বাংলাদেশের মারমা নৃগোষ্ঠীর জীবনে ধর্মসংস্কৃতির প্রভাব”। ২০২০ সালে ইউজিসি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে বাংলা বিভাগে অধ্যাপক ড. জি. এম. মনিরুজ্জামানের অধীনে তিনি এই গবেষণা কর্মটি সম্পন্ন করেছিলেন।

শেখ শাহিদ আল মাসুদ তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, গবেষক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া খুবই গর্বের। এ ধরনের স্বীকৃতি গবেষকদের গবেষণাকর্মে অনুপ্রাণিত করবে এবং নতুনদের জন্য পাথেয় হয়ে থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে আরও বেশি করে এ ধরনের কাজে যুক্ত হতে পারে; সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আরও বেশি বেশি সুযোগ সৃষ্টি করার উদ্যোগ নেওয়া দরকার। এ গবেষণাকর্মটি সম্পাদনের জন্য বিশেষভাবে আমাকে সহযোগিতা ও অনুপ্রাণিত করেছিলের প্রফেসর ড. জি.এম. মনিরুজ্জামান স্যার। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা।

তিনি আরো বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের নিয়ে এ ধরনের গবেষণা বিদেশে প্রচুর মূল্যায়ন হলেও বাংলাদেশে এগুলোর মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি কম। সরকারের এ ধরনের গবেষণা সম্পাদনার জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করা উচিত বলে আমি মনে করি। নবীন গবেষক হিসেবে এটি আমার দ্বিতীয় গবেষণা। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে এ পর্যন্ত আমার ৩টি গবেষণাকর্ম সম্পাদিত হয়েছে।

এ ব্যাপারে মাসুদের তত্বাবধায়ক বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জি. এম. মনিরুজ্জামান বলেন, ব্যাপারটি আমার জন্য আনন্দের ও গর্বের। এখানেই আমার সার্থকতা। আমি চাই আমার ছাত্ররা এভাবেই সামনে এগিয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, অ্যালপার ডগার সায়েন্টিফিক ইনডেক্স-২০২২ এর তালিকায় স্থান পাওয়া ৫ জন শিক্ষক হলেন- একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন , একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. তোফায়েল হোসেন মজুমদার, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদার, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. খলিলুর রহমান, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী ওমর সিদ্দিকী।