বিশ্বের প্রথম জিন-সংশোধিত শিশু জন্মের দাবি চীনা অধ্যাপকের

চীনের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দাবি করেছেন, তার তত্ত্বাবধানে জিন-সম্পাদিত দুই যমজ শিশুর জন্ম হয়েছে। তবে চীনা ওই বিশ্ববিদ্যালয় এর সমালোচনা করে অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে।

চীনের সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক হি জিয়ানকুই ইউটিউবে প্রকাশ করা পাঁচটি ভিডিওতে এই জন্মদান প্রক্রিয়ার বিস্তারিত জানিয়েছেন। তার আগে এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ ও বার্তা সংস্থা এপি এই খবর প্রকাশ করে।

অধ্যাপক জিয়ানকুই দাবি করছেন, সম্পাদনার মাধ্যমে ডিএনএতে পরিবর্তন আনার কারণে এই দুই যমজ শিশুর ভবিষ্যতে এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অথচ তাদের বাবা এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি।

তিনি জানান, ক্রিসপার/কাস৯ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিএনএ সম্পাদনা করা হয়েছে। তবে অধ্যাপক জিয়ানকুইর দাবি সঠিক কিনা তা এখনো যাচাই করে দেখা যায়নি।

তিনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেন, সেই বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে তার কাজের সমালোচনা করেছে। তার বিরুদ্ধে অবিলম্বে তদন্ত শুরুর ঘোষণাও দিয়েছে তারা। অধ্যাপক জিয়ানকুই এর কাজ অ্যাকাডেমিক নৈতিকতা ও নীতিমালার মারাত্মক লঙ্ঘন বলে ওই বিবৃতিতে মন্তব্য করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, গত ফেব্রুয়ারি থেকে বিনা বেতনে ছুটিতে ছিলেন অধ্যাপক জিয়ানকুই। চীনের প্রায় ১০০ বিজ্ঞানীও এক যৌথ বিবৃতিতে অধ্যাপক জিয়ানকুইর কাজের সমালোচনা করেছেন। ভবিষ্যতে এমন উদ্যোগ ঠেকাতে আরো শক্ত সরকারি নীতিমালা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তারা।

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের জিনতত্ত্বের অধ্যাপক জয়েস হার্পার এই গবেষণাকে বিপজ্জনক বলে আখ্যায়িত করেছেন। জিন সম্পাদনার মাধ্যমে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত রোগ ঠিক করা যায়। তবে প্রক্রিয়াটি বিতর্কিত। তাই যুক্তরাষ্ট্রে শুধু গবেষণাগারে এই কাজ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। ডিডব্লিউ।