বিশ্বের ভয়ঙ্করতম মিসাইল এখন ভারতের হাতে
বিশ্বের দ্রুততম এবং ভয়ংকরতম জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র (অ্যান্টিশিপ মিসাইল) এখন ভারতের হাতে। বৃহস্পতিবারই শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন এ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি। রাশিয়া ও ভারতের যৌথ প্রযুক্তিতে তৈরি এ ক্ষেপণাস্ত্র ভূমি, জাহাজ, সাবমেরিন বা যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষেপযোগ্য। এ অঞ্চলে চীন ও পাকিস্তানের প্রভাব ঠেকাতে নতুন ধরনের এ ক্ষেপণাস্ত্র ভারত নিজেদের অস্ত্র তালিকায় যুক্ত করল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ভারতের এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার দিনই সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, চীনের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও বহু ওয়ারহেডের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র ট্র্যাকিং ব্যবস্থার প্রযুক্তি কিনেছে পাকিস্তান। বুধবারই এ ব্যাপারে বেইজিং ও ইসলামাবাদের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৪২ মিনিট নাগাদ রাজস্থানের পোখরান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে ব্রহ্মোস নামের ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক টুইটবার্তায় জানানো হয়, ঠিক সময় দুর্দান্তভাবে লক্ষ্যভেদ করেছে ব্রহ্মোস। ভারতের ব্রহ্মপুত্র ও রাশিয়ার মোস্কভা- দুই দেশের দুই নদীর নামে এ ক্ষেপণাস্ত্রের নামকরণ করা হয়েছে। শব্দের চেয়ে তিন গুণ বেশি দ্রুত ম্যাক ২.৮ ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ২৯০ কিলোমিটার দূরত্বের বস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। বিশ্বের দ্রুততম এবং ভয়ংকর অ্যান্টিশিপ মিসাইল বলে পরিচিত ব্রহ্মোসের রেঞ্জ ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত করা যাবে। ভারতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণের পর বিজ্ঞানী, ডিআরডিও এবং ব্রহ্মোস টিমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, এই সফল উৎক্ষেপণ ভারতের নিরাপত্তাকে আরও বেশি মজবুত করবে।
চীনের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও মাল্টি ওয়ারহেড মিসাইল তৈরির জন্য উন্নত ট্র্যাকিং ব্যবস্থার প্রযুক্তি কিনেছে পাকিস্তান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চীনের সায়েন্স একাডেমি। চিরশত্রু ভারতের ভয়ংকর সব ক্ষেপণাস্ত্রের মোকাবেলায় পাকিস্তান এ ক্ষেপণাস্ত্র ট্র্যাকিং সিস্টেম কিনেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এক বিবৃতিতে দেশটির একাডেমি অব সায়েন্স জানায়, পাকিস্তানে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা প্রথম দেশ চীন। বৃহস্পতিবার চীনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, পাকিস্তানের কাছে চীন এমন একটি শক্তিশালী ট্র্যাকিং সিস্টেম বিক্রি করেছে যা মাল্টি ওয়ারহেড মিসাইল তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। চায়না সায়েন্স একাডেমির ইন্সটিটিউট অব অপটিকস অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সের গবেষক জেং মেংওয়ে বলেন, পাকিস্তান চীনের কাছ থেকে খুবই উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ট্র্যাকিং ও মেজারমেন্ট সিস্টেম কিনেছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীও সম্প্রতি চীনা এ সিস্টেম নতুন মিসাইল তৈরিতে পরীক্ষা করেছে।
এদিকে রিমোট কন্ট্রোল অত্যাধুনিক ট্যাংক তৈরি করতে যাচ্ছে চীন। মনুষ্যবিহীন এ ট্যাংক খুব শিগগির দেশটির শত্তিশালী ট্যাংকবহরে যোগ হবে। দেশটির সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘আনম্যানড ট্যাংক’ আবিষ্কার করেছে বেইজিং। চলবে রিমোট কন্ট্রোলে। শুধু এরকম গ্রাউন্ড ট্যাংক নয়, মানুষ ছাড়াই উড়বে এমন উড়ন্ত যান বা সহজ করে বললে ড্রোনও এখন বেইজিংয়ের সামরিক সরঞ্জাম ভাণ্ডারে রয়েছে। সোভিয়েত মডেলের টাইপ ৫৯ ট্যাংক ১৯৫০ সালে সর্বপ্রথম চীনা সেনারা ব্যবহার করে। তারপর থেকেই চীনে ওই ট্যাংকের বিপুল উৎপাদন শুরু হয়। নিয়ম মেনে ওই ট্যাংকের মডেলে বেশকিছু পরিবর্তনও আনা হয়। তৈরি করা হচ্ছে অত্যাধুনিক ট্যাংক। সাধারণত এ ধরনের ট্যাংকে ১০০ এমএম মর্টার, একটি ৭.৬২ এমএম মেশিনগান, একটি ১২.৭ এমএম অ্যান্টি এয়ারক্রাফট মেশিন থাকে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন