মধ্যরাতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

র‌্যাবের একটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয়া ও ভাঙচুরের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তিন শিক্ষার্থীকে মারধর ও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আটকের সময় তাদের মারধর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে তিনজনকে মারধর ও তুলে নেয়ার খবরে তাৎক্ষণিকভাবে টিএসসিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী ও ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ র‌্যাবের সঙ্গে কথা বললে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

শিক্ষার্থীরা হলেন- বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাবিষয়ক সম্পাদক কাজী তানভীর ও তার বন্ধু ফয়সাল। অন্যজন সূর্যসেন হলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান। ইমরান ও তানভীর চতুর্থ বর্ষের, আর ফয়সাল তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা রাস্তায় র‌্যাবের মাইক্রোবাসে ইচ্ছা করে বাইকের ধাক্কা লাগিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছে এবং চাঁদা দাবি করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেলে ওই তিন শিক্ষার্থী র‌্যাবের একটি মাইক্রোবাসকে কোনো এক কারণবশত আটকায়। তারা গাড়ির চালককে বের হয়ে আসতে বলেন। কিন্তু চালক বেরিয়ে না আসায় তারা গাড়ির লুকিং গ্লাস ভাঙচুর করেন। পরে গাড়িতে র‌্যাবের পোশাকে থাকা ১০-১২ জন সদস্য বের হয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করেন।

সরেজমিনে এ প্রতিবেদক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে একটি সাদা রঙের অ্যাপাচি মোটরসাইকেল ও ছোপ ছোপ রক্ত পড়ে থাকতে দেখেছেন।

পরে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য ও কয়েকজন সহকারী প্রক্টর যান। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করতে শুরু করেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে আগত বিভিন্ন রুটের গাড়ি আটকাতে থাকেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসানসহ সংগঠনটির কয়েকজন সিনিয়র নেতা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।

এসব বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।