‘বিশ্বে নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও বাংলাদেশ এখনো ভালো আছে’

নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও বিশ্বের বহু দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এখনো ভালো আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ বুধবার সচিবালয়ে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‌‘ভোগ্যপণ্যের দাম কমছে, ধীরে ধীরে আরও কমবে। শুধু দেশে না, সারা দুনিয়াতে পণ্যের দাম বাড়ছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে বলেই বিশ্বের বহু দেশ এ দেশের প্রশংসা করছে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে সত্যি, তারপরও বিশ্বের বহু দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এখনো ভালো আছে।’

সম্প্রতি সাভারে এক স্কুলছাত্রকে দিনমজুর বানিয়ে সংবাদ পরিবেশন নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পক্ষপাতমূলক সংবাদ করা হচ্ছে। এগুলো হলুদ সাংবাদিকতা।’

তিনি বলেন, ‘সাভারে একটা বাচ্চার হাতে ১০ টাকা দিয়ে ছবি ছেপে ভাইরাল করা হলো, এটা হলুদ সাংবাদিকতা, এখন হলুদ সাংবাদিকতা বেশি হচ্ছে।’ এ সময় হলুদ সাংবাদিকতা পরিহারের আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

মন্ত্রিসভায় গণপ্রতিনিধিত্ব সংশোধিত আইন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় এটার নীতিগত অনিমোদন হয়েছে। চূড়ান্ত হয়নি। আইন মন্ত্রণালয়ে এখন এটি ভোটিং হবে। চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে ফলাও করে বলার সুযোগ নেই।’

এ সময় সংবিধানের বাইরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফেরা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য আওয়ামী লীগের সাধারণ। তিনি বলেন, ‘বিএনপি যতই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দিবাস্বপ্ন দেখুক তা কখনো পূরণ হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারে আর ফিরতে পারব না আমরা। ইইউসহ সবাই চায় দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, অবশ্যই সংবিধান মেনে নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’

‘বিএনপি নির্বাচনে আসুক বা না আসুক তা নিয়ে তো আমাদের উদ্বেগের কিছু নেই। কারণ, আমরা সংবিধান মেনেই নির্বাচন করব। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে নষ্ট করেছে বিএনপি, এখন আর কেয়ার টেকারের প্রয়োজন নেই’, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি ২০০১ এর মতো কেয়ার টেকার সরকার চায়, দলীয় কেয়ার টেকার, ঢাকঢোল পিটিয়ে আন্দোলন হয় না। তাদের কয়েক মাসের আন্দোলন নেতাকর্মীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। জনগণের অংশগ্রহণ ছিল না। গণঅভ্যুত্থান নয়, গণআন্দোলনও করতে পারেনি বিএনপি।’

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশি দেশ ভারতে প্রতি মিনিটে কত মানুষ মারা যায়? ২০ জন মারা গেছে সৌদিতে, এর মধ্যে ৯ জন বাংলাদেশি। সড়কের দুর্ঘটনার কারণে কোনো মন্ত্রণালয় ব্যর্থ এমন বলা ঠিক নয় বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।