বৃদ্ধ সাত্তার মিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের টাকা গেল কোথায়
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বড় কাবলা গ্রামের আব্দুস সাত্তার মিয়া। বয়স ৭০ এর কাছাকাছি। বয়সের ভারে চলাফেরা করতে কষ্ট হয়। তবুও জীবন জীবিকার তাগিদে লড়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
ঘরে তার একমাত্র স্ত্রী। সেও অন্ধ। রাতে ঘুমানোর মতো জায়গাও নেই। তার দুঃখ কষ্ট দেখে বদলগাছী,র বাবলু নামে একজন ব্যক্তি তার মেয়ের আবহাওয়া অফিস সংলগ্ন ঘরবাড়ি দেখাশুনা দায়িত্ব দেয়।
আশ্রয় হিসাবে সেখানেই থাকে ঐ ভুক্তভোগী স্বামী-স্ত্রী। এর আগে করোনার সময় মাটি কাটা কাজ করার সময় চোখে বালি পরে এক চোখে সমস্যা দেখা দেয়। এরপর অপারেশন করলে একটি চোখ অন্ধ হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী আব্দুস সাত্তার মিয়া,র কাছে জানা যায়, সে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যান তহবিলে আর্থিক সাহায্য চেয়ে আবেদন করেন। যাচাই বাছাই শেষে তার আবেদন গ্রহন করে।
এবং ২২শে অক্টোবর ২৩ স্মারক নং ০৩.০০৭.০৩৭.০০.০০.৪১৫.২০২৩(অংশ-৪১৪) /১৬৭৮ পত্রের মাধ্যমে আব্দুল সাত্তার মিয়াকে তার অনুদানের চেক বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় অথবা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে রেভিনিউ স্টাম্প যুক্ত চেক গ্রহন করতে বলা হয়।
এরপর পত্র নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অত্র চেক টি সংগ্রহ করতে গেলে,অনেক খোঁজা খুঁজির পর ভুক্তভোগী কে জানানো হয়। এখানে আপনার চেক নেই। আপনি জেলা প্রশাসক অফিসে খোঁজ নিন।
এরপর একই ভাবে জেলা প্রশাসক অফিসে গেলে অনেক খোঁজার পর জানানো হয়। আপনার চেকটি কে বা কাহারা নিয়ে গেছে।
এখন প্রশ্ন হলো? আব্দুল সাত্তার মিয়ার নামে ইস্যুকৃত চেকটি কে সংগ্রহ করলো। এমন প্রশ্নের উত্তর বারবার এড়িয়ে গেছেন ঐ অফিসের কর্মকর্তারা। সবশেষে ভুক্তভোগী কে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে খোঁজ নিন।
এবার ভুক্তভোগীর গন্তব্য ঢাকায় এমপি সেলিম তরফদারের বাসভবনে। সেখানে গিয়ে উক্ত স্মারকের পত্রটি দেখানো হলে। এমপি সেলিম তরফদার সচিবালয়ে ৪ নং গেটে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
অনেক ঘুরাঘুরি আর অনুরোধ করে সচিবালয়ে ৪ নং অফিসে গিয়ে জানতে পার ঐ স্মারকের চেকটি নওগাঁ জেলা প্রশাসক অফিসে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী আবার জেলা প্রশাসক অফিসে খোঁজ নিয়ে তার চেকের কোন সন্ধান পায় নি। তাহলে চেকটি গেল কোথায়? ভুক্তভোগীর এমন প্রশ্নের উত্তর দেবে কে?
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের অফিস সহকারী একরামুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐ অন্ধ ব্যক্তি আমার অফিসে বারবার এসেছে। আমি বারবার খুঁজে দেখেছি ঐ ব্যক্তির নামে কোন চেক বা চিঠি কোনটিই এখানে আসে নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অ:দা:) মো. কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, এমন হওয়ার তো কথা না। হয়তো কোন কারনে আসে নি। ঐ চেক অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবেনা। তারপরও আমরা খোঁজ নিবো।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা বলেন, এমনটা হওয়ার কথা না। আপনার কাছে কাগজ পত্র থাকলে হোয়াটসঅ্যাপে দিন। তারপর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন