বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদী রূপপুরে ইউরেনিয়াম হস্তান্তর, প্রকল্প এলাকায় উৎসবের আমেজ
পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানকে ঘিরে প্রকল্প এলাকায় উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। এ উৎসবের ছোঁয়া লেগেছে পুরো ঈশ্বরদীতে। বর্ণিল সাজে সাজানো হচ্ছে প্রকল্প ও গ্রীণসিটি এলাকা।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের কাছে নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়াম হস্তান্তর করবে। এ অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতে রূপপুরজুড়ে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। প্যান্ডেল নির্মাণ, ফেস্টুন টাঙানো, দেওয়াল অংকনসহ নানা সাজসজ্জা।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) থেকে প্রতিদিন রূপপুর প্রকল্প থেকে গ্রীণসিটি পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র্যালীর আয়োজন করা হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, গ্রীণসিটির সামনের দেওয়ালে নানা চিত্রকর্মের মাধ্যমে নিউক্লিয়ার নিয়ে সাধারণ মানুষের ভ্রান্ত ধারণাকে দূরীকরণের চেষ্টা করেছেন চিত্রশিল্পী টিপু সুলতান। তিনি বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হলে এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট হবে বলে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। প্রকল্পের কারণে প্রাকৃতিক পরিবেশে যে কোনো প্রভাব পড়বে না, সে বিষয়টি কালারফুল চিত্রকর্মের মাধ্যমে মানুষকে আকর্ষণ করা হয়েছে। তার পাশাপাশি আমাদের দেশের অর্জনগুলো এ চিত্রকর্মে স্থান পেয়েছে।
ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানকে সফল করতে রূপপুরে অবস্থান করছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও রাশিয়ার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল।
ইরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার ( আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা রোসাটমের মহা পরিচালক আলেস্কি লিখাচেভ সশরীরে উপস্থিত থেকে ইউরেনিয়াম হস্তান্তর করবেন। বাংলাদেশের পক্ষে ইউরেনিয়াম গ্রহণ করবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
সোমবার গ্রীণসিটির চিত্রকর্ম পরিদর্শন করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। এসময় তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে এতো বড় প্রাপ্তি এর আগে দেশের জন্য হয়নি। আমরা এখন বিশ্বে ৩৩তম পারমাণবিক দেশের মর্যাদা অর্জনের পাশাপাশি এ ধরনের টেকনোলজি নিয়ে কাজের সক্ষমতা অর্জন করেছি।
এটা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় পাওয়া উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা এককভাবে নয়, সারাদেশের মানুষ এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যেভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করেছে সেজন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। দেশের মানুষের সহযোগিতার কারণেই আজ আমরা এ প্রকল্প পরিসমাপ্তির দিকে নিয়ে যেতে পেরেছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন