বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় মামলা

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ড ও প্রায় অর্ধশত প্রাণহানির ঘটনায় রমনা থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করেছে। শনিবার ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সালমান ফার্সী গণমাধ্যমকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, সকালে পোড়া ভবনটিতে আসেনি কোনো তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। তবে এফবিসিসিআই এর একটি প্রতিনিধি দল বেলা ১১টার পর আসে ঘটনাস্থলে।

এসময় ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক ও এফবিসিসিআই এর সেফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত আবু নাঈম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, ভবনটিতে কোনো ধরনের অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে পাননি।

আগুন লাগা ভবনটি ছিলো এক মৃত্যুকূপআগুন লাগা ভবনটি ছিলো এক মৃত্যুকূপ তিনি আরও জানান, এ ধরনের ভবনগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অনিয়ম নিয়ে ফায়ার সার্ভিস মামলা করলেও সেগুলো বছরের পর বছর ঝুলে থাকে, রায় হয় না।

এদিকে আগুনের ঘটনায় ভবনের নিচতলার চায়ের চুমুক রেস্তোরাঁর দুইজন ও কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজারকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আটক তিনজন হলেন- ওই ভবনে চায়ের চুমুক খাবার দোকানের দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান এবং ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর ম্যানেজার জয়নুদ্দিন জিসান।

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে শুক্রবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিন এসব কথা জানান।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দু’জন ভর্তি আছেন।