বেশি দামে ডিম-তেল-আলু-পেঁয়াজ, বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই
সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না ডিম, সয়াবিন তেল, আলু ও পেঁয়াজ।
নতুন নির্ধারণ করা দাম অনুযায়ী, প্রতি পিস ডিম ১২ টাকা, পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, আলু ৩৫ টাকা এবং সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১৬৯ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও, আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য।
এদিকে, রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ভাটারা বাজারে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ সময় অতিরিক্ত দাম নেয়ায় জরিমানা আদায় করা হয় একটি দোকানে। সেই সঙ্গে বাকিদের সতর্ক করা হয়।
অভিযানের বিষয়ে সংস্থাটির ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মাগফুর রহমান বলেন, আলু, পেঁয়াজ, ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। সেই নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি করেছিলেন এক বিক্রেতা। আমরা এর প্রমাণ পেয়েছি। কাজেই সে যেন সরকারের নির্ধারিত মূল্য মেনে পণ্য বিক্রি করেন, তাই আমরা তাকে জরিমানা করেছি।
সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে আলু বিক্রি করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় সেই ব্যবসায়ীকে। কিন্তু এতে তার ঘোর আপত্তি। কারণ, পাইকারি বাজারে তাদের বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা ৪০ টাকা ৫০ পয়সা দরে আলু কিনেছি। তাই বিক্রি করছি ৪২ টাকায়। আমার কাছে ভাউচারও রয়েছে। এর পরও আমাকে জরিমানা করা হয়েছে।
খুচরা বাজারে আলুর দাম ৩৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল সরকার।
কিন্তু বিক্রেতারা বলছেন, তাদের কিনতেই হচ্ছে ৪১ টাকায়। বাধ্য হয়েই তাই বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকায়।
আরেকজন আলু বিক্রেতা দাবি করেন, আমরা প্রতি কেজি আলু ৩৯ টাকা ৫০ পয়সায় কেনা পড়ছে। কোল্ড স্টোরেজ থেকে বলা হচ্ছে, আপনারা এই দামে পছন্দ হলে নেন, না হলে বাদ দেন।
নতুন নির্ধারণ করা দাম অনুযায়ী, প্রতি পিস ডিম ১২ টাকা, পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, আলু ৩৫ টাকা এবং সয়াবিন তেল লিটার ১৬৯ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও, আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য।
অন্যদিকে বাড়তি দামে নাভিশ্বাস ক্রেতার। তারা মনে করছেন, খুচরা বাজারে নয়, কারসাজি হচ্ছে পাইকারি বাজারে। এক ক্রেতা বলেন, পাইকারিতে ডিমের দাম ১২ টাকা। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে সেটি কেউ মানছে না।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) খুচরা বাজারে প্রতিটি ডিমের দাম ১২ টাকা, আলুর দাম প্রতি কেজি ৩৫ টাকা থেকে ৩৬ টাকা এবং পেঁয়াজের দাম ৬৪ টাকা থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার পর থেকেই বাজারে নতুন দর কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাজারের চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। এই তিন পণ্য বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই।
এছাড়া একই দিন সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দামও কমানোর ঘোষণা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। পরে সেদিন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভোজ্যতেলের দাম কমানোর ঘোষণা দেয়।
এতে বলা হয়েছে, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য কমায় দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমানো হয়েছে। ফলে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৫ টাকা কমিয়ে ১৬৯ টাকা এবং ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৮২৫ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম ৪ টাকা কমিয়ে ১২৪ টাকা করা হয়েছে।
নতুন এ দাম রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন