খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষী করা হলো এফবিআই ও কানাডার তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য এফবিআইয়ের এক কর্মকর্তা ও কানাডার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাক্ষী করা হয়েছে।

রোববার ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর অস্থায়ী এজলাসে বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এই আদেশ দেন।

যাদেরকে সাক্ষী করা হয়েছে তাঁরা হলেন এফবিআইয়ের কর্মকর্তা ডেবরা ল্যাপ্রেভোত্তে গ্রিফিত ও কানাডার রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশের দুই কর্মকর্তা কেভিন ডুগান ও লাইওড স্কোয়েপ। এই তিনজন নাইকো কেলেঙ্কারি নিয়ে এর আগে তদন্ত করেছেন।

মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) কর্মকর্তা ও কানাডার রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে হাজির করার অনুমতি চেয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। ওই আবেদন আজ মঞ্জুর করা হলো।

দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, বিদেশি তিন কর্মকর্তা এখন নাইকো দুর্নীতি মামলার সাক্ষী। তাঁদেরকে সমন দেওয়া হবে।

গত ২৩ মে এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। এরপর দুটি ধার্য তারিখে বাদী জবানবন্দি দেন। দুজন আসামির পক্ষে বাদীকে জেরা করা হয়। বাকি আসামিদের পক্ষে জেরা করার জন্য আগামী ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে।

এই মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

আসামিদের মধ্যে খালেদা জিয়ার পক্ষে তাঁর আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার হাজিরা দেন। আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। অন্যান্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদ, এ কে এম মোশারফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মৃত্যুবরণ করায় ইতিপূর্বেই তাঁদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।