ব্যাংকে আমানতের ওপর কর একটু বাড়িয়েছি : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘ব্যাংকে আমানতের ওপর কর ধার্য নতুন কিছু নয়। এটা আগে থেকেই ছিল। আমি করের হারটা একটু খানিক বাড়িয়েছি।’ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থ পাচার যেটা হয় সেটা বেআইনি। সেটা রুদ্ধ করার সুযোগ নেই। তবে যেটা আমরা করতে পারি, তা হচ্ছে পাচারের সুযোগ কমানো। এর অর্থ হচ্ছে কালো টাকা দেশে যাতে না হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া। আমরা এ বিষয়ে কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছি। আগামী মাসের মধ্যেই এটা দেখা যাবে।’

সঞ্চয়পত্রের সুদের হার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আগেই বলেছি সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কিছুটা কমানো হবে। সাধারণত সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বাজারের সুদের হারের থেকে একটু বেশি রাখা হয়। তবে খুব বেশি রাখা ‍উচিত নয়। আমাদের সামগ্রিক একটি হিসাব হলো যে, মার্কেট ইন্টারেস্ট রেটের থেকে কমপক্ষে দুই শতাংশ বা তার বেশি রাখা দরকার। সেই অনুযায়ী, এই রেট নির্ধারণ করা হবে। তবে এজন্য একটু সময় লাগবে।’

রেমিটেন্স প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এবার রেমিটেন্স কিছুটা কমেছে। তবে রেমিটেন্স কমার বিষয়টি বাংলাদেশের একার বিষয় নয়। এটা আন্তর্জাতিক বিষয়। আফ্রিকার কয়েকটি দেশ ছাড়া প্রত্যকটি দেশেরই রেমিটেন্স কমেছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি গত কয়েক বছর কালো টাকা সাদা করতে কোনো প্রস্তাব নিচ্ছি না। নিয়মিতভাবে কালো টাকা সাদা করার ব্যবস্থা প্রচলিত আইনে রয়েছে। এক্ষেত্রে স্থায়ী জরিমানা দিতে হয়। তা বহাল রয়েছে। গত দুই বছর ধরে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তখন থেকেই এ ব্যবস্থা চলছে। এটা অব্যহত থাকবে। অবশ্য এক্ষেত্রে বড় আকারের জরিমানা রয়েছে। ২০ শতাংশ জরিমানা দিতে হয়।’

আগামী অর্থবছরের বাজেট সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের বাজেট অত্যন্ত ভালো বাজেট। আমার ৮৪ বছরের যে অভিজ্ঞতা, কর্মদক্ষতা বা ব্যর্থতা সব কিছু নিয়েই তৈরি করেছি। সম্পূরক বাজেটে সেরকম কৃতিত্ব দাবি করি নাই।’