ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুড়িয়ে দেয়া বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শনে আইজিপি ড. বেনজীর

পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা পুলিশ কেন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন নি সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি মাইকিং করে পুলিশের আত্মরক্ষার কৌশলকে অপেশাদার আচরণ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে হেফাজতে তাণ্ডবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে পুড়িয়ে দেয়া বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সার্কিট হাউজে এসব কথা বলেন বেনজীর আহমেদ।

পুলিশ প্রধান বলেন, দেশের কর্মকাণ্ড বিদেশে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়। আমাদের রাষ্ট্রীয় ইমেজ তার সঙ্গে যায় না। আমরা একটি সন্ত্রাসী দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে চাই না। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের জন্য ইমেজ সংকট হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ৫০ বছর অতিক্রম করেছি। স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে পরিচালিত হবে। আমাদের দেশে আগে হুজুরেরা রিকশায় যেতে পারতেন না। এখন অনেকেরই গাড়ি হয়েছে। অনেকে হেলিকপ্টার হুজুর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। এটা দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির কারণে হয়েছে। এর অংশীদার আপনারা। দয়া করে এসব ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ বন্ধ করুন। ধ্বংস কার্যক্রম চালালে ১৮ কোটি মানুষ কিন্তু সেটা ভিন্নভাবে নিতে পারে।

বেনজীর আহমেদ বলেন, দেশের কয়েকটি জেলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি। এখানে ৫৭৪ টি মাদ্রাসা রয়েছে। যার ছাত্র সংখ্যা ১লাখ। এ জেলার লোক সংখ্যা ৩২ লাখ। আপনারা ৩২ লাখ লোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছেন কিসের জন্য।

‘আপনারা বাসস্ট্যান্ড পুড়াই দিচ্ছেন, রেলওয়ে ষ্টেশন পুড়াই দিচ্ছেন, ভূমি, জেলা পরিষদ অফিস পুড়াই দিচ্ছেন, বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা করছেন। এগুলো আমি মনে করি, কোনটিই শুভ লক্ষণ নয়।’ -বলেন পুলিশ মহাপরির্দক।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌরমিলনায়তন পরিদর্শন করেন বেনজীর আহমেদ। এরপর পৌরসভা কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের বঙ্গবন্ধুর ক্ষতিগ্রস্ত ম্যুরাল, আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, সদর উপজেলা ভূমি অফিস ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবসহ বেশ কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন করেন।

এসময় পুলিশ প্রধানের সঙ্গে ছিলেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, পুলিশের স্পেশাল শাখার প্রধান মনিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াদ উদ দৌলা খান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুর রহমান প্রমুখ।