ব্রিকসে ঐক্যের ডাক চীনা প্রেসিডেন্টের
দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বুধবার তিনি ব্রিকস গ্রুপের নেতার উদ্দেশ্যে এ আহ্বান জানান। বৈশ্বিক অশান্তি ও রূপান্তরের মধ্যে এ জোটকে আরও কার্যকর করে তোলার জন্য এ ব্রিকস গ্রুপের সম্প্রসারণের কথা বলেন তিনি।
বর্তমানে এ গ্রুপের নেতৃস্থানীয় দেশ ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার নেতারা জোহানেসবার্গে বৈঠক করছেন। এ সময় তারা ব্রিকসে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি কাঠামো এবং মানদণ্ড প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনার করেন।
যদিও ব্রিকস সদস্যরা প্রকাশ্যে এ ব্লকে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির কথা বলছেন, কিন্তু তবু তাদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। কতজন সদস্যকে নতুন করে এ সংস্থার সদস্য করা হবে বা কত দ্রুত জোটের সম্প্রসারণ করা হবে – তা নিয়ে তারা ভিন্নমত পোষণ করেছেন।
এ জোটে প্রভাবশালী দেশ চীন দীর্ঘ দিন ধরে এ সংস্থার সম্প্রসারণের জন্য চাপ দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির অবনতিশীল সম্পর্কের পাশাপাশি ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে তারা জোটের সম্প্রসারণকে জরুরি বলে মনে করছে।
ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে শি বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলো ব্রিকসে অংশগ্রহণে দারুণ উৎসাহ দেখিয়েছে। এ দেশগুলোর অনেকেই জোটে যোগদানের জন্য আবেদন করেছে দেখে তিনি আনন্দিত।
তিনি বলেন, আমাদের উচিৎ আরও বেশি দেশকে ব্রিকস পরিবারে অন্তর্ভুক্ত করা। যাতে করে বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থাকে আরও ন্যায়সঙ্গত করা যায় এবং এর জন্য বিভিন্ন কৌশল ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়।
শি জিনপিং আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের সময়ে বিশ্ব এবং ইতিহাসের পরিবর্তনগুলো এমনভাবে উদ্ভাসিত হচ্ছে, যা আগে কখনো হয়নি এবং এটি মানবসমাজকে একটি জটিল সন্ধিক্ষণের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’
চীন ইতিহাসের সঠিক পথে দৃঢ়তার সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছে। তারা বিশ্বাস করে, সবার মঙ্গলের জন্য একটি ন্যায়সঙ্গত বৈশ্বিক পথ অনুসরণ করা উচিত।
এবারের সম্মেলনে ব্রিকসভুক্ত পাঁচ দেশ ছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। এবারের সম্মেলন থেকেই জোটটিতে নতুন সদস্য যুক্তের ঘোষণা আসতে পারে। ৪০টিরও বেশি দেশ এরই মধ্যে ব্রিকসের সদস্য হওয়ার আবেদন করেছে। এটিই এবারের ব্রিকস সম্মেলনের প্রধান আকর্ষণ।
২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে ব্রিকস। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো এর সদস্য। ব্রিকস সদস্য হওয়ার পর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়।
সূত্র : ডন
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন