ব্রেক্সিট প্রায় চূড়ান্ত, শেষ বেলায় একটু ধৈর্য ধরুন : তেরেসা মে

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়া-সংক্রান্ত ব্রেক্সিট চুক্তির ৯৫ শতাংশ শর্তই চূড়ান্ত করার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। দরকষাকষির শেষ ধাপে আইনপ্রণেতাদের ধৈর্যশীল হতে বলেছেন তিনি।

সোমবার হাউস অব কমন্সে দেওয়া ভাষণে এ কথা জানান তেরেসা মে। এ সময় ব্রেক্সিট আলোচনার অচলাবস্থা কাটাতে সম্ভাব্য সব ধরনের পন্থা অবলম্বনের কথাও জানান ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী।

ব্রেক্সিটের বিষয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে রয়েছে আয়ারল্যান্ডের সীমান্ত-সংক্রান্ত বিষয়টি। ডিসেম্বরে ইইউ সামিটের আগেই এ ধরনের বাধা কাটিয়ে ব্রেক্সিট চুক্তি চূড়ান্ত হবে বলে বিশ্বাস করেন মে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পূর্ণ সদস্যভুক্ত স্বাধীন দেশ আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে রয়ে যাওয়া নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড একই ভূখণ্ডে হওয়ায় সেখানে সীমান্তে কতটা নজরদারি জারি করা হবে, এ নিয়ে মূলত আলোচনার শুরু।

নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড যুক্তরাজ্যের সঙ্গে থেকে ইইউ থেকে আলাদা হয়ে গেলে আইরিশরা এখনকার মতো অবাধে উভয় দেশে যাতায়াত করতে পারবে কি না, প্রতিবার পাসপোর্ট দেখাতে হবে কি না এ সংশয় থেকে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। সীমান্তে কড়াকড়ির ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামলে তার দায় ব্রিটেন নেবে কি না, তা জানতে চায় ইইউ ও আয়ারল্যান্ড।

যদিও এ নিয়ে ব্রেক্সিটপন্থী রক্ষণশীল দল এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি ইইউকে ছাড় দেওয়ার বিপক্ষে। আর উভয় পক্ষের শক্ত অবস্থানের কারণে চাপে রয়েছে তেরেসা মে সরকার।

এসবের পরও ব্রিটেন ও ইইউ আশা করে, আগামী বছরের ব্রেক্সিট দিবসের আগেই পার্লামেন্টে চুক্তিটি চূড়ান্তভাবে পাস হবে।

২০১৬ সালের ২৩ জুন যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা ব্রেক্সিট হবে কি হবে না, তা নিয়ে গণভোটে অংশ নেয়। ৫১ দশমিক ৯ শতাংশ ভোটার ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় আর ৪৮ দশমিক ১ শতাংশ ভোটার এর বিপক্ষে ভোট দেন। এতে যুক্তরাজ্যের তিন কোটি ভোটারের ৭১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়ে।