বড়দিনের ভাষণেও পোপের মুখে বাংলাদেশের কথা

বড়দিনে শরণার্থীদের জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি ক্যাথলিকদের ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিসের এক বিশেষ আবেদনে উঠে এসেছে অসংখ্য রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া বাংলাদেশের নাম।

পোপ জন পলের সফরের ৩১ বছর পর গত ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশে আসেন পোপ ফ্রান্সিস। তিনদিনের ওই সফরে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে যান তিনি। তাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন পোপ।

বড়দিনে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে দেয়া ওই ভাষণে পোপ বলেন, যারা নিজ ভূমি থেকে বিতারিত হয়ে এসেছেন তাদের অবহেলা করা উচিত নয়। বিশ্বের ২২ মিলিয়ন মানুষ শরণার্থী। তাদের মধ্যে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাও রয়েছে।

বাইবেলের একটি ঘটনার উল্লেখ করে শরণার্থীদের সঙ্গে যিশু খ্রিষ্টের মাতা মেরি এবং পিতা জোসেফের সাথে তুলনা করে পোপ বলেন, নাজারেথ থেকে যখন মেরি ও জোসেফ বেথেলহেমে যান তখন তাদেরও থাকার মতো কোনো জায়গা ছিল না।

পবিত্র বেথেলহেমে ব্যাপক আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বড়দিন উদযাপন করা হচ্ছে। দিনটি ঘিরে দেশে দেশে বর্ণিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

পোপ যোগ করে বলেন, অনেক অভিবাসী তাদের নেতাদের কারণে বাধ্য হচ্ছে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে, নিষ্পাপ রক্তগুলোও কারো নজরে পড়ছে না। জোসেফ ও মেরির পদচিহ্নের পেছনে আরো অনেক পদচিহ্ন হারিয়ে গেছে।

ইতালির এক অভিবাসীর উত্তরসূরী হিসেবে ৮১ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন পোপ ফ্রান্সিস বলেন, আমরা লক্ষ লক্ষ মানুষকে দেখেছি যারা তাদের দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিজেরা নেয়নি। বরং বাধ্য হয়েছে, বাধ্য হয়েছে প্রিয় দেশ ও প্রিয় মানুষবে ছেড়ে যেতে।