ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ
ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর করা হবে। এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৬ হাজার ১৪০ কোটি ১৯ লাখ ২১ হাজার টাকা। একই সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনে ফের সংস্কার ব্যয় বাড়ছে ১৮৭ কোটি টাকা। এ দুটিসহ ৩৯ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৪ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে একনেক সভা।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সভাকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভাশেষে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর প্রকল্পটি অক্টোবর ২০২৩ থেকে জুন ২০২৬ মেয়াদে বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্প এলাকা
ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা, নগরকান্দা, মুকসুদপুর, কাশিয়ানি উপজেলা এবং খুলনা বিভাগের নড়াইল ও যশোর জেলার লোহাগড়া, নড়াইল সদর, বাগারপাড়া, যশোর সদর, ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলা।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য
ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য সহায়ক প্রকল্প হিসেবে সড়কের দুই পাশের প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণ এবং ইউটিলিটি স্থানান্তরের কাজ সম্পন্ন করা।
প্রধান কার্যক্রম
৯৬৯ দশমিক ৩৬ একর ভূমি অধিগ্রহণ, অবকাঠামো ও গাছপালা ইত্যাদি সংক্রান্ত ক্ষতিপূরণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর।
পরিকল্পনা কমিশনের মতামত
আলোচ্য প্রকল্পের মাধ্যমে ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণেরজন্য উক্ত সড়কের দুই পাশের প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। ইউটিলিটি স্থানান্তরের কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। এর ফলে মূল প্রকল্পের কাজ সহজতর হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনে ফের বাড়লো সংস্কার ব্যয়
ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন ফের সংস্কার ব্যয় বাড়ছে ১৮৭ কোটি টাকা। চার লেনে উন্নীত ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কে চার বছরের জন্য পারফরম্যান্স-বেইজড অপারেশন ও দৃঢ়করণ সংশোধিত প্রকল্পে ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি করা হয়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী সংস্থা সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। প্রকল্পের মূল অনুমোদিত ব্যয় ছিল ৭৯৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা। প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৯৮০ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
জুলাই ২০১৯ থেকে জুন ২০২৩ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কথা থাকলেও নতুন করে জুন ২০২৫ সাল নাগাদ প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।
প্রকল্প এলাকা
কুমিল্লা জেলার কুমিল্লা সদর, দাউদকান্দি, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম ও ফেনী জেলার ফেনী সদর এবং চট্টগ্রাম জেলার চট্টগ্রাম সদর, মিরসরাই, সীতাকুণ্ড উপজেলা।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য
ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক চার বছরের জন্য পারফরম্যান্স বেইজড রক্ষণাবেক্ষণ ও পেভমেন্ট শক্তিশালীকরণ। এর মাধ্যমে মহাসড়কটির পূর্ণ উপযোগিতা ও স্থায়ীত্ব নিশ্চিতকরণসহ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখা।
প্রধান কার্যক্রম
সড়ক বাঁধে ৭৭ হাজার ৮৯০.৬৮ ঘনমিটার মাটির কাজ, ৫ লাখ ১৪ হাজার ৬৫৮.৩২ বর্গমিটার ট্যাক কোট, ২ লাখ ৯ হাজার ৭০৩ ঘনমিটার ওয়ারিং কোর্স (রাট ফিলিং) ও ১ লাখ ২১ হাজার ৯৯৪.৮৫ বর্গমিটার রোড মার্কিং করা হবে। রুটিন মেইনেটনেন্স ওয়ার্ক এবং একটি স্টিল ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন