ভারতের পাশেই পশ্চিমা দেশ, ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে চীন!

গত কয়েকমাস ধরেই ডোকালামে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারত ও চীনের সেনাবহিনীর সদস্যরা। ভারত-চীনের মধ্যকার ডোকালাম ইস্যু নিয়ে উত্তাপ ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। দেখা গেছে, এই ইস্যুতে ভারতের পাশেই রয়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশ বিশেষ করে পশ্চিমা দেশের গণমাধ্যম। এ দাবি করে ক্ষোভ উগরে দিল চীনের সংবাদমাধ্যম। মার্কিন মিডিয়াও যেভাবে ভারতের পাশে রয়েছে, তা মোটেই ভালো চোখে দেখছে না চীন।

চীনা সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসে লেখা হয়েছে যে, ভারত তুলনায় দুর্বল বলেই অন্যান্য দেশের সমবেদনা পাওয়ার চেষ্টা করছে। এই প্রতিবেদনে চীন আরও দাবি করেছে যে, ভারত অবৈধভাবে ভারতে ঢুকে পড়া সত্ত্বেও পশ্চিমি দেশের সংবাদমাধ্যম ভারতের পাশে রয়েছে। আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যম ভারতে চীনা অনুপ্রবেশের বিষয়টিকে সমর্থন করছে না বলেই এমন কথা লিখেছে গ্লোবাল টাইমস। ডোকলাম ইস্যুকে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গিতেই দেখছে ওইসব মিডিয়া। তবে শুধু ডোকলামই নয়, বরাহোতিতও অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল চীন। এক সময় এই জায়গা দিয়ে চীনা সেনাবাহিনীর অনুপ্রবেশ মারাত্মক উত্তেজনার সৃষ্টি করেছিল এবং শেষ পর্যন্ত যার ফল ১৯৬২-র যুদ্ধ পর্যন্ত গড়ায়। গত সপ্তাহে ২৫ জুলাই সকাল নটায় উত্তরাখণ্ডের বরাহোতি দিয়ে চীনা সেনারা অন্তত ৮০০ মিটার থেকে ১ কিলোমিটার ঢুকে এসেছে। ভুটানের ডোকালাম নিয়ে অচলাবস্থার মধ্যেই চীন একতরফাভাবে এমন পদক্ষেপ নিল।

এদিকে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করেই এলাকার ভেড়া পশু পালকদের হুমকি দিয়ে ওই এলাকা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় বলে অভিযোগ। যদিও দুই ঘণ্টা পরেই ভারতীয় ভূখণ্ড ছেড়ে চীনা সৈন্যরা চলে যায়। সূত্রে খবর চীনা সেনারা সংখ্যায় প্রায় ২০০-৩০০ জন ছিল। সে সময় সীমান্তের ওই এলাকায় সাদা পোশাকে টহল দিচ্ছিল ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি)’এর সদস্যরা। বিষয়টি নিয়ে তারা রুখে দাঁড়ানোর ফলে আর বেশি দূর এগোতে পারেনি চীনা সেনাবাহিনী। এরপরই জায়গা ছাড়ে তারা।

১৯৫৮ সালে বরাহোটিকে বিতর্কিত এলাকা বলে তালিকাভুক্ত করে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী। সে অর্থে ওই এলাকায় কোন দেশের সেনাবাহিনীরই প্রবেশাধিকার নেই। ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের সময়ও চীনা সেনা বাহিনী ওই বিতর্কিত অংশে প্রবেশ করেনি। ওই যুদ্ধের পরই বরাহোটিতে সীমান্ত পাহারা দেয় অস্ত্রধারী আইটিবিপি’এর সদস্যরা। যদিও সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ২০০০ সালের জুনে ওই এলাকায় অস্ত্রধারী সীমান্তবাহিনী মোতায়েনের বদলে সাদা পোশাকের (অস্ত্রহীন) আইটিবিপি বাহিনীকে মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত।