কুড়িগ্রামে

ভারতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ভারতীয় যুবকের বাংলাদেশে প্রবেশ, হাসপাতালে ভর্তি

ভারতের কুচবিহার জেলার সাহেবগন্জ থানায় নির্বাচনী সহিংসতায় কারফিউ চলাকালীন সময়ে বাড়ীর বাইরে বের হওয়ায় চৌধুরীর হাট এলাকায় মিলন মিয়া নামক এক ভারতীয় যুবক গুলিবিদ্ধ হন। পরে গুরতর আহত অবস্থায় প্রতিবেশীরা তাকে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কুড়িগ্রামে তার নানার বাড়ীতে পাঠায়।

শনিবার রাতে গুলিবিদ্ধ মিলন মিয়া ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ৯৪৬/৫ এস এর কাছে দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
এসময় তার বাংলাদেশী নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের তার নানা বাড়ির আত্মীয়রা চিকিৎসা দেয়ার জন্য নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) রওশন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তৌহিদুল আলম জানান, এ ব্যাপারে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কাজ করছি।

সে ভারতের কুচবিহার জেলার সাহেবগঞ্জ থানার মাইদালের কুঠি গ্রামের জগু আলমের ছেলে। গুলিবিদ্ধ ওই যুবক বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গুলিবিদ্ধ যুবক মিলন মিয়া জানায়, শনিবার সন্ধায় আমি বাড়ির পাশে দোকানে খরচ নেয়ার জন্য বের হলে সেখানে আমি গুলিবিদ্ধ হই। পরে প্রতিবেশিদের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য রাতেই বাংলাদেশে আমার নানার বাড়িতে চলে আসি।

ঐ যুবকের নানা নাগেশ্বরীর ভিতরবন্দ ইউনিয়নের মকবুল হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমার মেয়ে জামাই এবং ৩ নাতী মিলে তারা ভারতে বসবাস করছে। তারা ভারতের নাগরিক। আমার নাতী ভারতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আমার বাড়িতে আসে। পরে তাকে আমরা নাগেশ্বরী হাসপাতালে ভর্তি করাই। পরে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ আমার নাতীকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. পুলক কুমার সরকার জানান, ভারতীয় ওই যুবক পাঁজরের ডান দিকে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ভোর ৪ টায় তাকে জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।