ভাসানচরে আরো দুই হাজার রোহিঙ্গা

আরো দুই হাজার রোহিঙ্গা গেলো নোয়াখালীর ভাসানচরে।

নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বুধবার (৩০ মার্চ) সকাল পৌনে ৯টায় চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে জাহাজগুলো ছেড়ে যায়। উন্নত জীবনের আশায় ভাসানচর গেলেও পূর্ণ মর্যাদা নিয়ে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরতে চান রোহিঙ্গারা।

হুইসেল বাজিয়ে একে একে ছেড়ে গেলো ৫টি জাহাজ। নারী, পুরুষ ও শিশুসহ প্রায় দুই হাজার রোহিঙ্গা নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে চট্টগ্রাম বোট ক্লাব ছেড়ে যায় নৌবাহিনীর এসব জাহাজ।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) ৪০টি বাসে উখিয়া থেকে পতেঙ্গায় বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটিতে নিয়ে আসা হয় তাদের। বাহিনীর সদস্যদের আন্তরিকতা ও ব্যবস্থাপনায় খুশি রোহিঙ্গারা।

ভাসানচরে রয়েছে নিরাপদ আশ্রয় ও জীবিকা নির্বাহের নানা প্রকল্প। এসব জেনেই উন্নত ও নিরাপদ জীবনে নিশ্চয়তায় আশাবাদী রোহিঙ্গারা।

ভাসানচরের ১২০টি আশ্রয়ণকেন্দ্রে এ পর্যন্ত ১৩ দফায় ২৬ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে পাঠানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পাঠানো হবে এক লাখ। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) আরও প্রায় ২ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়ার কথা রয়েছে।

২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরগুলো থেকে প্রথম রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে গত বছরের ৯ অক্টোবর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সহায়তা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার সম্মতি প্রকাশের মাধ্যমে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা- ইউএনএইচসিআর।
এর আগে দ্বাদশ দফা পর্যন্ত কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরগুলো থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছিল ২৪ হাজার ৫৭৮ জন রোহিঙ্গাকে। এবারের ত্রয়োদশ দফায় এক হাজার ৯৯৯ জনসহ মোট ২৭ হাজার ৬৭৩ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের তথ্য মতে, গত ২০২০ সালে সরকার সিদ্ধান্ত নেয় কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে। সরকারের ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে কার্যক্রম চলামান রয়েছে।

ওই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাসস্থানসহ অবকাঠামোগত সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার নির্মাণ ও প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সরকার।