ভূরুঙ্গামারীতে টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে নদ নদীর পানি, ভাঙ্গন আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা আহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর সব কটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙ্গন আতংকে দিন পার করছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন।

রবিবার (১৮ জুন) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, উপজেলার ধুদকুমার, ফুলকুমার, কালজানি ও সংকোষসহ সব কটি নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টিতে খাল-বিল পানিতে টইটুম্বর হয়ে গেছে। এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিন মজুর মানুষ গুলো।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শনিবার (১৭ জুন) বিকেল পর্যন্ত দুধকুমার নদীর পানি ভূরুঙ্গামারীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপদ সীমার ৭০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সোনাহাট সেতু পাড়ের ব‍্যবসায়ী ফরিদুল ইসলাম বলেন, গত ২ দিন থেকে দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদী পানি দিয়ে ভরে গেছে। এক সপ্তাহ আগেও নদীতে মাছ পাওয়া দুস্কর ছিলো। আর এখন নদীর পাড়ে জাল দিয়ে মাছ মারার মেলা বসেছে। এমনকি শনিবার বিকেলে এক ব‍্যক্তির বরশিতে ৫ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ ধরা পড়েছে।
দুধকুমার নদী পাড়ের বাসিন্দা জুলহাস উদ্দিন জানান, নদীর পানি বাড়লে ভয়ে থাকি। কখন যেনি জমি, গাছপালা ভেঙ্গে নিয়ে যায়।

পাইকেরছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দুইদিন থেকে দুধকুমার নদের পানি খুবই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। নদী ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, নদ নদীগুলোতে গভীরতা না থাকার কারণে সামান্য পানি আসলে নদী ভরে গিয়ে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায় । নদীগুলোর খনন করা হলে আমরা বন্যার হাত থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পেতাম।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া জানান, রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টার ৩৬ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়ার্স। আবহাওয়ার এমন অবস্থা আগামী দুই তিন দিন পর্যন্ত অব‍্যাহত থাকতে পারে। এসময় লাগাতার বৃষ্টিসহ মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণও হতে পারে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। যার ফলে নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে পানি উঠতে পারে।