ভূরুঙ্গামারীতে স্বস্তির বৃষ্টিতে আমন চারা রোপনে ব‍্যস্ত কৃষক

টানা কয়েক সপ্তাহের তীব্র খরার পর বৃষ্টির দেখা মেলেছে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে। স্বস্তির বৃষ্টিতে রোপা আমন ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার কৃষকরা। জমিতে চাষ করা, আগাছা পরিস্কার করা, পানি দেয়া, সার দেয়া সহ নানা কাজে এখন দারুণ ব্যস্ত ভূরুঙ্গামারীর কৃষক।

উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্ষায় সেচ বিহীন কম খরচে আমন ধান চাষ করে লাভের স্বপ্ন দেখেন কৃষকরা । গতবারের চেয়ে তুলনা মূলক বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কৃষকরা পুরোদমে আমন ধান চাষ শুরু করতে পারেন নাই। অন্যান্য বছর এই সময় আমন ধান লাগানোর কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়ে যায়।কিন্তু এবছর প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বৃষ্টি হওয়ায় ও প্রচন্ড খরায় আমন ধান চাষে পিছিয়ে যাওয়ায় উপজেলা কৃষি বিভাগের নির্ধারিত লক্ষ‍্য মাত্রার এক চতুর্থাংশও এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়নি।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, চলতি রোপা আমন মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১৬ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এখনও পর্যন্ত মাত্র ১ হাজা হেক্টর জমিতে ধান রোপণ করা হয়েছে।

উপজেলার পশ্চিম ছাট গোপাল পুর গ্রামের কৃষক আবদুল মজিদ জানান চলতি মৌসুমে তিনি ৪ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করবেন। বৃষ্টি না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় ছিলেন। এখন বৃষ্টিতে ধান লাগাতে পেরে দারুণ খুশি তিনি।

কৃষক আলম হোসেন বলেন, বৃষ্টির পানির উপর নির্ভর করে আমরা আমন চাষ করে থাকি। অনেক দিন পর এই বৃষ্টির নাগাল পেয়েছি। আমার প্রায় তিন বিঘা জমিতে বৃষ্টির পানি জমেছে। আমন ধান চারা রোপণের উপযোগী করতে জমি চাষ করছি।

পাইকেরছড়া ইউনিয়নের কৃষক ও পাওয়ার টিলার মালিক গফুর মিয়া জানান, জমিতে বৃষ্টির পানি জমায় পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। পাওয়ার টিলার দিয়ে কৃষকের এক বিঘা জমি একবার চাষ করতে ২৫০ টাকা করে নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুজন কুমার ভৌমিক জানান, বৃষ্টি না হওয়ায় রোপা আমন লাগাতে পারেননি অনেক কৃষক। এখন আর কৃষকের সেই সমস্যা নেই। আশা করি আমন চাষের লক্ষ্য মাত্রা পূরণ হবে। এছাড়াও কৃষকদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।