ভূয়া সচিব ধরা, বিপুল সম্পত্তির মালিক

প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের লিগাল অ্যাডভাইজার এবং তার নগদ অর্থ ও বিভিন্ন স্থাপনার কাস্টোডিয়ান তিনি।

তার আরেক পরিচয় তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব। এসব ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারক আব্দুল কাদের গত কয়েক বছরে বিপুল সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন। তবে তার সঙ্গে মুসার আসলেই কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

রাজধানীর গুলশানের জব্বার টাওয়ারে সাড়ে ৬ হাজার স্কয়ার ফিটের অফিস আব্দুল কাদেরের। বৃহস্পতিবার রাতে এ অফিসে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অতিরিক্ত সচিব পরিচয় দেওয়া আব্দুল কাদের ও তার স্ত্রীসহ মোট ৫ জনকে।

সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দাদের দাবি, গত কয়েক বছরে কোনোরকম বৈধ উপার্জন ছাড়াই বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন তিনি। নোয়াখালীর সুবর্নচরের ভূমিহীন কৃষক পরিবারে জন্ম নেওয়া কাদের চলাফেরা করেন কোটি টাকার গাড়িতে। গুলশান ছাড়াও কারওয়ান বাজারে আছে তার অফিস। গুলশান, মিরপুরে একাধিক ফ্ল্যাট, গাজীপুরে নয় তলা বাড়ি, পূবাইলে আছে বাগানবাড়ি। অন্তত ১০টি ব্যাংকে রক্ষিত আছে কোটি কোটি টাকা।

কাদের একসময় গানম্যান নিয়ে চলাফেরা করতেন। এখন অবশ্য সে নিজেই অস্ত্র ও ওয়াকিটকি নিয়ে চলাফেরা করেন। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। বর্তমানে তার প্রতারণার বড় একটি ধরণ হচ্ছে ২০ কোটি কিংবা তারও বেশি টাকার লোন পাইয়ে দেওয়া- জানালেন গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার।

ধনকুবের মুসা বিন শমসেরের লিগাল অ্যাডভাইজার এবং তার সম্পত্তির কাস্টোডিয়ান হিসেবেও নিজেকে পরিচয় দেন তিনি। মুসা তাকে ২০ কোটি টাকার চেকও দিয়েছেন।

কাদেরের বিরুদ্ধে এর আগেও আরো হাফ ডজন মামলার তথ্য পেয়েছে পুলিশ।