ভোগ দখল না করে জনগণকে সেবা দিন, নইলে বিদায়- প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোগ দখল না করে জনগণকে সেবা দিন। আপনারা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন সেবা দেওয়ার জন্য, ভোগ দখলের জন্য নয়। সেবা না দিয়ে লুটপাট করলে বিদায় নিতে হবে।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে (বিআইসিসি) জেলা পরিষদে ৫৯ জন চেয়ারম্যানসহ নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের উন্নয়নের কথা ভাবতে হবে। যে যেই দল থেকেই নির্বাচিত হোক, সেটা না ভেবে উন্নয়ন করতে হবে।

সরকার প্রধান বলেন, কে ভোট দিলো, কে দিলো না সেটা দেখিনি। আমরা সার্বিক উন্নয়ন করেছি। নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়ন আমাদের লক্ষ্য, বৈষম্য থাক সেটা চাই না।

তিনি বলেন, ২০০৮ এর নির্বাচনে ওয়াদা করেছিলাম, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। এখন বাংলাদেশ বললে আন্তর্জাতিক বিশ্ব বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে। দেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশকে উন্নত করা। যতটুকু উন্নয়ন অর্জন করেছি সেটা ধরে রাখতে হবে

এসময় রিজার্ভ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রিজার্ভ নিয়ে কথা উঠছে, যে রিজার্ভ নাকি চুরি হয়ে গেছে! বিএনপির আমলের পাঁচ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়নে নিয়েছি। আর মানুষের কল্যাণে রিজার্ভের টাকা ব্যবহার করেছি।

প্রধানমন্ত্রী জানান, অতিবেশি মূল্য দিয়ে ভোজ্য, জ্বালানি তেলসহ সব আমদানি পণ্য কিনতে হচ্ছে। টাকা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। টাকা মানুষের জন্যই ব্যবহার করতে হবে।

বিএনপির বক্তব্যকে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির চরিত্রই অপপ্রচার চালানো। মানুষ যেন বিভ্রান্ত না হয় সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, মা-বাবা-ভাই সব হত্যার সঙ্গে জিয়া জড়িত। আমরা মানুষের ওপর প্রতিশোধ নিতে যাইনি। আওয়ামী লীগ কারো ওপর নির্যাতন করেনি, দেশ গড়ার কাজে মনোযোগ দিয়েছি।

বিএনপির গঠনতন্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তারা নিজেরাই নিজেদের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে চেয়ারম্যান করে রেখেছে। আমার মা-বাবা, ভাই হত্যার আসামি জিয়াউর রহমান। সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের দল আবার এতো কথা বলে কী করে? বিএনপি ক্ষমতায় এসে আমাদের যত নেতাকর্মীকে নির্যাতন করেছে, সেই তুলনায় আওয়ামী লীগ কিছুই করেনি।

শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিল আমি নাকি প্রধানমন্ত্রী দূরের কথা, বিরোধী দলীয় নেতাও হতে পারব না। এখন কী হলো, ‘আসলে আল্লাহর মার, দুনিয়ার বার