ভোটের আগে-পরে চারদিন মাঠে থাকবে র‌্যাব-বিজিবি

খুলনা ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিটি ওয়ার্ডে এক প্লাটুন র‌্যাব এবং দুই ওয়ার্ডে এক কোম্পানি বিজিবি সদস্য টহল ও রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটের আগে ও পরে চারদিন তারা মাঠে থাকবেন।

এছাড়া প্রার্থীদের আচরণবিধি তদারকিতে থাকবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং গুরুতর অপরাধের শাস্তির জন্য সামারি ট্রায়াল করে বিচার করবেন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। ইতোমধ্যে আচরণবিধি মনিটরিংয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সিটি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত হিসেবে টহল শুরু করেছেন।

একই সঙ্গে ভোটকেন্দ্র পাহারায় থাকবে পুলিশ, আর্মস পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং আনসার ও ভিডিপি। এসব বাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা সাধারণ ভোটকেন্দ্রে এসআইয়ের নেতৃত্বে ২২ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জন। ভোটের আগের দুদিন এবং পরে একদিনসহ মোট চারদিন এসব সদস্যকে মাঠে রাখার পরিকল্পনা করেছে কমিশন।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকে ইসি সচিবালয় এ সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করবে। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

উল্লেখ্য, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৫ মে খুলনা ও গাজীপুর সিটিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন। আর ৩১টি সাধারণ ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৪ জন।

তবে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সন্তোস প্রকাশ করেছেন খুলনা ও গাজীপুর সিটির রিটানিং কর্মকর্তারা। তারা বলেন, এ নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই।

গাজীপুর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিবউদ্দিন মন্ডল বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ এখনো শান্তিপূর্ণ, নেই কোনো শঙ্কা। মঙ্গলবার থেকে ১৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নেমেছেন। পুলিশের কিছু সংখ্যক সদস্য দায়িত্ব পালন করছে। পুলিশ প্রশাসন তাকে সহযোগিতা করছে বলে জানান এই রিটার্নিং কর্মকর্তা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠকে কী পরামর্শ থাকবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, র‌্যাব, বিজিবিসহ পুলিশের সদস্য বৃদ্ধির দাবি জানানো হবে। পাশাপাশি, ভোটের দিন ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ইসিকে অনুরোধ জানানো হবে।