ভোলায় ঘূর্ণিঝড়ের আগাম প্রস্তুতি
ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ আঘাত হানতে পারে এমন আশঙ্কায় আগামী ২৬ মে উপকূলীয় এলাকা ভোলায় সতর্কাবস্থায় রয়েছে প্রশাসন।
জেলার ৭ উপজেলায় ৭ শত ৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এতে অন্তত ৫ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কেন্দ্রের মাধ্যমে জেলায় ১০ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক ইউনিয়ন এবং গ্রামপর্যায়ে মানুষদেরকে সতর্ক করছেন।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ভোলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম বলেন, ভোলার উপকূলে ঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং মহামারীকরোনার সহ বিভিন্ন দুর্যোগে ভোলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও যুব রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকরা নিরলসভাবে কাজ করে। এব্যাপারে যুব প্রধান আদিল হোসেন তপু বলেন, আমরা ভোলার নদীপারের বিভিন্ন গ্রামে আমাদের স্বেচ্ছাসেবক এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষদেরকে সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে সতর্ক করে যাচ্ছি।
চরফ্যাসন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আমরা যখন শুনলাম একটা ঘূর্ণিঝড় হতে পারে তখন আমরা ভোলা জেলায় আমাদের যত স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে সবাইকে জানিয়েছি। ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লিডারের মাধ্যমে প্রত্যেক গ্রামে সতর্ক করার জন্য বলেছি যাতে কোন ঘূর্ণিঝড় হলে আমরা সহজে সেটা মোকাবেলা করতে পারি। এছাড়া প্রশাসনের সাথে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ করে যাচ্ছি।
ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে উপকূলীয় এলাকার মানুষদের অনেকে ব্যক্তিগতভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আবার অনেকে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কিছুই জানেন না ।তবে সব মিলিয়ে প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষ সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় চোখ কান খোলা রেখে সতর্ক অবস্থানে আছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন