প্রশাসনের নাকের ডগায়

ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে মেঘনা নদীতে ট্রলার স্পীড চলাচলের অভিযোগ

ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে লঞ্চ ও সিট্রাক চলাচল বন্ধ থাকলেও চলেছে নিষিদ্ধ ট্রলার। সোমবার রাতভর ঢাকা-চট্টগ্রামের বাড়ি ফেরা যাত্রীদের নিয়ে একযোগে ১৭টি ট্রলার ভোলার ইলিশা ঘাটে আসে।
এর মধ্যে মেঘনা নদীর উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে সাজু মাঝির ট্রলারের তলা ফেটে ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়। পরে অপরাপর ট্রলারে অর্ধ শতাধিক যাত্রীকে উদ্ধার করে।
মঙ্গলবার ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুজিত হাওলাদার জানান, এভাবে যাত্রীদের বাড়ি ফেরা খুবই ঝুকিপূর্ন। সরকার করোনা প্রতিরোধে লকডাউন দিয়েছে, যাতে সবাই ঘরে থাকি। অথচ একটি গ্রুপ ট্রলার চালিয়ে ওই সব যাত্রীদের চলাচলে সুযোগ করে দিচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে ইলিশাঘাটে ট্রলারের নিয়ন্ত্রন করেন স্থানীয় ইজাদার লোক, জোরখালে নিয়ন্ত্রন করেন ইউপি চেয়ারম্যানের এক আত্মীয়, সাজল বেপারীর ঘাট, ফারুক বেপারীর ঘাটে ট্রলার প্রতি নেয়া হয় ৫ হাজার টাকা করে টোল।

এছাড়া লক্ষীপুর জেলার মজুচৌধুরীহাট ঘাটের ঘাট ইজারাদার গ্রুপ সহ একটি সিন্ডিকেট কোস্টগার্ডের সোস ও ইলিশা ফাড়ী এবং নৌ পুলিশ ম্যানেজ করেই প্রকাশ্যে ট্রলারে যাত্রী পরিবহন করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এরা যাত্রী প্রতি একশ টাকার পরিবর্তে আদায় করছে ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা করে ভাড়া। করোনা ভাইরাসের আতঙ্ককে পুজি করে ওই চক্র এভাবেই হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির বৈঠকে এই সব ট্রলার চলাচল বন্ধ রাখার জন্য প্রস্তাব দেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোশারফ হোসেন, প্রেসক্লাব সম্পাদক অমিতাভ অপুসহ উপস্থিত বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা।

এদিকে এই সব ট্রলার বন্ধ রাখতে প্রশাসনের খুব একটা অভিযান নেই বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

ইলিশা নৌ থানার ওসি সুজন কুমার পাল জানান, সোমবার রাতে লক্ষ্মীপুর মৌজু চৌধুরীর হাট থেকে যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ভোলায় আসছিলো। ট্রলারটি মতির হাটের কাছে পৌছলে তলা ফেটে যায়। এ সময় অন্য একটি ট্রলার এসে তাদের উদ্ধার করলে সকলে প্রাণ রক্ষা পায়।

এদিকে ভোলা ইলিশালঞ্চঘাটে নির্বিঘ্নে ট্রলার যাত্রী পারাপার করলেও মঙ্গলবার সকালে প্রশাসনের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।

তবে বি আই ডব্লিউ টি এর সহকারি পরিচালক মো: কামরুজ্জামান জানান, ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের মেঘনা নদীর ডেঞ্জার জোনে সি সার্ভে সনদ ছাড়া সকল ধরনের নৌ যান চলচল বন্ধ থাকবে। অবৈধ ভাবে ট্রলার স্পীড চলাচল বন্ধের ব্যাপারে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে।