মওদুদের বাড়িতে খালেদার যাওয়া নাটক : মাহজাবিন
মওদুদ আহমেদকে বাড়ি থেকে উৎখাতের সময় সেখানে খালেদা জিয়ার উপস্থিত হওয়াকে নাটক আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মাহাজাবিন খালেদ।
বৃহস্পতিবার সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি বলেছেন, “খালেদা জিয়া ওই বাড়ির সামনে গিয়ে নাটক করে এসেছেন। এ নাটক জনগণ বোঝে।”
মওদুদের বাড়ি হারানোর বিষয়টিকে ‘সৃষ্টিকর্তার দুনিয়াতে বিচার’ বলেও আখ্যায়িত করেন এই সংসদ সদস্য।
বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ চার দশক ধরে ঢাকার গুলশানের যে বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন, সর্ব্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর বুধবার অভিযান চালিয়ে তার দখল নেয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
ওই সময় বাড়ির সামনে গিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মওদুদ বলছে, অন্যায়ভাবে তাকে বাড়ি থেকে উৎখাত করা হয়েছে। বিএনপি বলছে, মওদুদ বিএনপি করেন বলেই বাড়ি হারাতে হল তাকে।
বিএনপির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মাহজাবিন বলেন, “দমন-পীড়ন আ্ওয়ামী লীগ সরকার করে না। দমন-পীড়নের রাজনীতি করেছেন খালেদা জিয়া নিজে।”
খালেদা জিয়ার স্বামী জিয়াউর রহমানের মতোই সেনা কর্মকর্তা ছিলেন মাহজাবিনের বাবা খালেদ মোশাররফ। দুজনই বীর উত্তম খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধা।
পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর খন্দকার মোশতাক আহমেদ ক্ষমতারোহনের পর জিয়াকে সেনাপ্রধান করা হয়েছিল। এরপর ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে পাল্টা অভ্যুত্থানে বন্দি করা হয়েছিল জিয়াকে।
৭ নভেম্বর পাল্টা অভ্যুত্থানে মুক্ত হন জিয়া; তখন হত্যা করা হয়েছিল খালেদ মোশাররফকে। পরে জিয়া রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেন। জিয়া মারা যাওয়ার পর খালেদা জিয়া বিএনপির হাল ধরেন এবং পরে তিনি প্রধানমন্ত্রীও হন।
মাহজাবিন বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের বীর নায়ক খালেদ মোশাররফের স্ত্রী হিসেবে আমার মাকে সরকার যে বাড়ি প্রদান করে, সেখান থেকে উচ্ছেদের জন্য বেগম জিয়া তার শাসনকালে একের পর এক প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
“২০০৫ সালে খালোদা জিয়ার বোনের ছেলে মাইক্রোবাসে করে গুণ্ডা ভাড়া করে এসে বাড়ি খালি করার জন্য আমার মাকে হুমকি দেন। হুমকি দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, আমাদের সে বাড়ি থেকে অবৈধভাবে বের করে দিয়েছিল। না কোনো আদালতের আদেশ। সম্পূর্ণ গুণ্ডামি করে আমাদের বাড়ি দখল করে নেন।”
“এটি কর্মফল। সৃষ্টিকর্তা দুনিয়াতে বিচার দেখান। খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্ট ছাড়তে হয়েছে। গতকাল মওদুদ আহমদকেও তার বাড়ি ছাড়তে হয়েছে,” বলেন খালেদ মোশাররফের মেয়ে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন